চলতি বছরে খুব একটা ভালো ছন্দে নেই ভারতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর ইগর স্টিমাকের পরিবর্তে মানোলো মার্কুয়েজের (Manolo Marquez) হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তারপর গত ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ থেকেই ব্লু-টাইগার্সদের হেড স্যার হিসেবে নিজের কাজ করে চলেছেন এই স্প্যানিশ কোচ। সেই টুর্নামেন্টে খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স থাকেনি ভারতীয় ফুটবলারদের। দুর্বল মরিশাসের সাথে ড্র করার পাশাপাশি পরাজিত হতে হয়েছিল শক্তিশালী সিরিয়ার কাছে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকলকে।
সেই ধাক্কা কাটিয়ে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যে সেইসময় যুদ্ধের আবহ থাকায় টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় লেবানন দল। যারফলে ভিয়েতনামে গিয়ে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেই ফিরে আসতে হয়েছিল রাহুল ভেকেদের। সেবার এক গোলে পিছিয়ে থাকলেও ফারুক চৌধুরীর গোলে সমতায় ফিরেছিল ভারতীয় দল। শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয়েছিল সেই ম্যাচ। তারপর গত সোমবার গাছিবাউলি স্টেডিয়ামে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ফ্রেন্ডলী ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ব্লু-টাইগার্সরা। নির্ধারিত সময়ের শেষে ফের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয়েছে এই আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
এদিন ভারতের বুকে এই ম্যাচ আয়োজিত হলেও প্রথম থেকেই সক্রিয়তা দেখিয়েছে মালয়েশিয়া ফুটবল দল। তাঁদের ঘন ঘন আক্রমণের ফলে প্রচন্ড চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল ভারতীয় ফুটবল দলকে। যারফলে ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই প্রথম গোল তুলে নেয় পাউ মার্টির ছেলেরা। সেই সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিং সান্ধু বক্স ছেড়ে এগিয়ে আসলেও বলটিকে নিজের আয়ত্তে আনতে পারেননি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই বল গোল করে যান পাওলো জোসু। যদিও পরবর্তীতে গোলের মুখ খুলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি ভারতীয় ফুটবলারদের। প্রথমার্ধের শেষের দিকে ব্রেন্ডন ফার্নান্দেজের ভাসানো বল থেকে হেড দিয়ে গোল করে যান ভারতীয় ডিফেন্ডার রাহুল ভেকে।
পরবর্তীতে আর ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়নি কারুর পক্ষে। তবে দেশের মাটিতে ভারতীয় দলের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ সকলেই। তবুও এসবের মধ্যে ও ভারতীয় ফুটবল দল নিয়ে ইতিবাচক মানোলো মার্কুয়েজ। বর্তমানে খারাপ পারফরম্যান্স থাকলেও এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করে দল যে ভালো পারফরম্যান্স করবে সেই নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী এই আইএসএল জয়ী কোচ। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “জানি বহুদিন হয়ে গেল আমরা কোনও ম্যাচ জিততে পারিনি। তবে আমি নিশ্চিত ২০২৭-এ এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা আমরা অর্জন করব। এখনও চার মাস দেরি আছে সেই বাছাই পর্বের। তবে মার্চে আমরা জয় পাব”। তাঁর এমন মন্তব্য কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন দেশের ফুটবলপ্রেমীরা।