Manoj Tiwary: অবসর ভেঙে ফিরে আসতে পারেন তারকা বাঙালি ক্রিকেটার

আগস্টের ৩ তারিখ ক্রিকেটের সব রকমের ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তবে মনে করা হচ্ছে পিকচার আভি বাকি হ্যায়। অবসর ভেঙে…

আগস্টের ৩ তারিখ ক্রিকেটের সব রকমের ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তবে মনে করা হচ্ছে পিকচার আভি বাকি হ্যায়। অবসর ভেঙে ফের মাঠে ফিরতে পারেন ৩৭ বছর বয়সি ডান হাতি ক্রিকেটার।

ইতিমধ্যে ক্রিকেট মহলের কেউ কেউ দাবি করেছেন, ব্যাট হাতে আবার মাঠে ফিরবেন মনোজ তিওয়ারি। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কোনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে অনেকের অনুমান, সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের মুখেই অবসর ভেঙে মাঠে নামার কথা জানাবেন মনোজ। ৩রা আগস্ট দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দিয়েছিলেন বিদায় বার্তা। ভারতের জার্সি পরে খেলার একটি ছবি সহ পোস্ট করেছিলেন অবসর নেওয়ার মেসেজ।

ভারতের হয়ে ২০০৮ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১২টি ওডিআই এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন মনোজ। ব্যক্তিগত আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে মোট ১২টি একদিনের ম্যাচে ২৮৭ রান করেছিলেন বাংলার মনোজ তিওয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি। ১৯ বছরের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট কেরিয়ারে মাত্র ৯২ রানের জন্য ছুঁতে পারেননি না দশ হাজার রানের নজির। ২৯টি সেঞ্চুরি সহ ৪৮.৫৬ গড়ে ৯৯০৮ রান রয়েছে তার নামের পাশে। ২০০৪ সালে ইডেন গার্ডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে দীপ দাশগুপ্তের অধীনে তার অভিষেক হয়েছিল। ১৬৯টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৪২.২৮ গড়ে ৫৫৮১ রান করেছেন মনোজ।

২০১২ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম আইপিএল জয়েরও সদস্য ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। ফাইনালে সিএসকের বিরুদ্ধে ১৯১ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে জয়ের রান তুলেছিলেন তিনিই। তিওয়ারি আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সামগ্রিকভাবে খেলেছেন ১৮৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ১১৬.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৩,৪৩৬ রান।

সক্রিয় ক্রিকেটার থাকাকালীন রাজনীতিতে নেমেছিলেন এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০২২-২৩ এর ঘরোয়া মরসুমে, ৩৭ বছর বয়সী মনোজ বাংলার হয়ে ক্রিকেটের ময়দানে ফিরে আসেন। অধিনায়ক হিসেবে দলকে নিয়ে যান রঞ্জি ফাইনালেও। ইডেন গার্ডেনে সেই ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরে যায় টিম বাংলা।