২০২৩ সালের সবচেয়ে বড় ডোপিং কেলেঙ্কারি (Doping Scandal) সামনে এসেছে। যার ফলে ২ ডজনেরও বেশি খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ার ঝুঁকির মুখে। এই ডোপিং ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের রাতের ঘুম ছুটিয়ে দিয়েছে। ডোপিংয়ে ধরা পড়া অনেক খেলোয়াড়ও পদক বিজয়ী। এমন পরিস্থিতিতে সেই আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারও এখন প্রশ্নের মুখে।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বছরের সবচেয়ে বড় ডোপিং কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সিকে পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে। নাডা তাৎক্ষণিকভাবে সমস্ত খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করেছে। সেই খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা দেখার বিষয়। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, ডোপিং কেলেঙ্কারিতে খেলোয়াড়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সংবাদ মাধ্যমের খবরে দাবি করা হচ্ছে, ন্যাশনাল ডোপ টেস্ট ল্যাবরেটরিতে এখনও ডোপিং নিয়ে তদন্ত চলছে, তাই এই কেলেঙ্কারিতে আটকা পড়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত গোয়ায় জাতীয় গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জানা গেছে, এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ২৫ জন খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত ডোপিংয়ে আটকা পড়েছেন। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে ৯ জন অ্যাথলিট রয়েছেন। এ ছাড়া নাডার ফাঁদে পড়েছেন ৭ জন ওয়েটলিফটার। নাডা নির্দেশ দিয়েছে যে এই জাতীয় গেমসে অংশগ্রহণকারী সমস্ত খেলোয়াড়ের বি নমুনা পরীক্ষা করা উচিত।
NADA India hosted a virtual session on Anti-Doping Education & Awareness for ineligible athletes to engage and enhance their understanding of anti-doping measures aligning with international anti-doping policies for a level playing field. pic.twitter.com/7pEpd804Uj
— NADA India (@NADAIndiaOffice) December 28, 2023
এর আগেও অনেকবার ডোপিং কেলেঙ্কারির কারণে খেলোয়াড়দের পতন হয়েছে। ২০১৫ সালে কেরালায় জাতীয় গেমসের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে নাডা ডোপিং কেলেঙ্কারিতে ১৬ জন খেলোয়াড়কে হাতেনাতে ধরেছিল। এরপর ২০২২ সালে গুজরাটে অনুষ্ঠিত জাতীয় গেমসে ১০ জন খেলোয়াড় ডোপিং কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়েছিলেন।