Magan Singh: মরুভূমিতে ফুটবলের ফুল ফোটানোর চেষ্টা মগন সিংয়ের

মগন সিং। (Magan Singh) সাতের দশকের বাংলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের এক সদস্য। ১৯৭০-এর ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য। ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে সেই…

Magan Singh

মগন সিং। (Magan Singh) সাতের দশকের বাংলার ফুটবলের স্বর্ণযুগের এক সদস্য। ১৯৭০-এর ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য। ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে সেই এশিয়ান গেমসে দুটো গোলও ছিল এই স্ট্রাইকারের। ভারতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসে মগন হলেন ষষ্ঠ স্ট্রাইকার যিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন, ১৯৭৪-এর মারডেকা কাপে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

খেলা ছাড়ার পর বিস্মৃতিতে চলে গিয়েছিলেন অর্জুন পুরষ্কার পাওয়া, সুভাষ ভৌমিক, মহম্মদ হাবিব, নঈমউদ্দিনদের প্রাক্তন সতীর্থ এই রাজস্থানি ফুটবল তারকা।

হঠাৎ এতবছর পর তার নাম দেখা গেল রাজস্থান ফুটবল ইউনাইটেডের ওয়েবসাইটে। তিনি দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর! কোথায়? রবিবার রাতে বিকানিরের বাড়িতে তার সঙ্গে ফোনে এই প্রসঙ্গ তুলতেই মগন পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, চলতি ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানকে হারিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসা রাজস্থান ইউনাইটেডের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই! এমনকী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে রাজস্থানের উত্তেজক জয়ের ম্যাচও তিনি দেখেননি!

মগন সিং বরং অন্য এক সাধনায় মগ্ন। মরুভূমিতে ফুটবলের ফুল ফোটানোর চেষ্টা করছেন তিনি। ৭৪ বছরের এই স্ট্রাইকার তার ছেলে বিক্রমকে সঙ্গে নিয়ে বিকানিরের গ্রামে তৈরি করেছেন মগন সিং ফুটবল অ্যাকাডেমি। উদ্দেশ্য ভারতীয় ফুটবলকে অদূর ভবিষ্যতে রাজস্থানের ফুটবলার উপহার দেওয়া। বর্তমানে সেই অ্যাকাডেমিতে খুদে ফুটবলারের সংখ্যা ১৫০। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ মেয়ে ফুটবলার। সেনাবাহিনীতে উচ্চ পদে কাজ করেছেন।

তার সঙ্গে গৌরবময় ফুটবলের জীবন। অবসর নেওয়ার পর ৭৪ বছরের এই প্রাক্তন তারকা নিজের খরচে তৈরি করেছেন ফুটবল স্কুল। সেখানে খুদে ফুটবলারদের কিট-সহ দৈনন্দিন টিফিন, এমনকী প্র্যাক্টিসে চোখে পড়ার মত কেউ খেললে তার জন্য আলাদা উপহার-সমস্তটাই মগনের নিজের উদ্যোগে হয়। বললেন, “কিছু মেয়ে রয়েছে যাদের বেসিক স্কিল চোখে পড়ার মত। কিন্তু ওরা খুবই গরিব ঘরের। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ওরা ঘরে তো পায় না। তাই অ্যাকাডেমিতে ওদের সেটা দেওয়া হয়। আমার বিশ্বাস বেশিদিন নয়, খুব তাড়াতাড়িই ভারতের বয়সভিত্তিক মহিলা ফুটবল দলগুলোতে ওদের দেখা যাবে।”