Liston Colaco : সমর্থকদের সামনে খেলা বাড়তি সুবিধা, মানছেন কোলাসো

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন শহরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আসলে এবার এই বাছাই পর্বের ম্যাচগুলি হবে কলকাতার মাটিতে। বিদেশের দলগুলির সঙ্গে…

ATK Mohun Bagan

short-samachar

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন শহরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আসলে এবার এই বাছাই পর্বের ম্যাচগুলি হবে কলকাতার মাটিতে। বিদেশের দলগুলির সঙ্গে দেশের ফুটবলারদের খেলা চাক্ষুস করার সুযোগ তাই হাতছাড়া করতে চাইছেন না তিলোত্তমাবাসী।

   

সমর্থকদের সামনে খেলা যে ভারতীয় দলের পক্ষে বাড়তি সুবিধা, তা অবশ্য একবাক্যে মেনে নিলেন তারকা ফরোয়ার্ড লিস্টন কোলাসো। কলকাতায় ম্যাচ হওয়ায় তিনি বেজায় খুশি। এমনিতেই এটিকে মোহনবাগানের হয়ে খেলার সুবাদে যুবভারতী স্টেডিয়ামকে হাতের তালুর মতো চেনেন কোলাসো। তাই গ্রুপ পর্যায়ের সবকটি ম্যাচ জিতে পরবর্তী রাউন্ডের টিকি পাওয়ার বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। কোলাসো বলেন, ‍‘আসন্ন বাছাই পর্বের ম্যাচগুলিতে জয় ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে ওঠার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। এটাই এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। কলকাতায় নিজেদের দেশের সমর্থকদের সামনে খেলা আমাদের বাড়তি সুবিধা জোগাবে।’

সম্প্রতি তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচে হারলেও ভারতীয় শিবিরে সবারই যথেষ্ট ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে বলে জানান কোলাসো। সবুজ-মেরুন ফরোয়ার্ড বলেন, ‍‘আমাদের শিবিরে ইতিবাচক আবহাওয়া। সবাই আশাবাদী এবং আত্মবিশ্বাসী। একে অপরের প্রতি আস্থা আছে আমাদের। আগামী তিনটি ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে আমরা সবাই তৈরি।’

ভারতীয় দলের সাফল্যের জন্য কোলাসোর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করেন ফুটবলপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁকে সম্প্রতি উইঙ্গার ও স্ট্রাইকার, দুই ভূমিকাতেই খেলতে দেখা গিয়েছে। যে কোনও জায়গাতেই তিনি খেলতে তৈরি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন এটিকে মোহনবাগানের এই গোয়ানিজ ফুটবলার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‍‘উইঙ্গার না স্ট্রাইকার, এই নিয়ে বেশি ভাবতে রাজি নই আমি। আমি কোচের কথা মেনে চলি। তিনি যে জায়গায় আমাকে খেলতে বলেন, সেই জায়গাতেই খেলি। কোচের নির্দেশ মেনে চলাই খেলোয়াড়ের প্রধান কর্তব্য, এটাই আমার দর্শন। আমার লক্ষ্য খেলে যাওয়া এবং আমাকে যে ভূমিকা পালন করতে বলা হয়, সেই ভূমিকা পালন করে দলের প্রতি অবদান রাখা।’

আইএসএলে দুরন্ত পারফর্ম করে ভারতীয় ফুটবলে মহাতারকা হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে এই তকমা সঠিক বলে মানতে রাজি নন কোলাসো। বলেন, ‍‘আমি দলের একজন সদস্য, যে পরিশ্রম করে নিজের কাজটা করে যেতে চায়। সবচেয়ে বড় কথা, সদ্য পেশাদার ফুটবলার হিসেবে জীবন শুরু করেছি। এখনও অনেকটা পথ এগোতে হবে আমাকে। আমার জীবন-দর্শন খুবই সাধারণ, মাথা নীচু করে ও মাটিতে পা রেখে পরিশ্রম করে যাও।’

কঠিন জায়গা থেকে গোল করার ব্যাপারে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন কোলাসো। প্রস্তুতিতে তিনি নিয়মিত এ ভাবে গোল করার অনুশীলন নিয়মিত করে থাকেন বলে আগেও জানিয়েছেন তাঁর কোচ, সতীর্থরা। কোলাসোর দাবি, ‍‘কঠিন জায়গা থেকে গোল করার কোনও রহস্য নেই। তবে অস্বীকার করব না, গোল করতে আমি খুবই ভালবাসি। এটাই আমার কাজ। প্রতিটা ট্রেনিং সেশনকে জীবনের শেষ সেশন মনে করে মাঠে নামি। অনুশীলনই মানুষকে নিখুঁত করে তোলে। ম্যাচের পরিস্থিতি কল্পনা করে নিয়ে অনুশীলনে সেটাই করি। এই পদ্ধতির কোনও শেষ নেই।’

হায়দরাবাদ এফসি থেকে তাঁকে মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে মোহনবাগান নিয়ে আসার পর থেকে যথেষ্ট উন্নতি করেছেন লিস্টন কোলাসো। নিজেকে কতটা উন্নত করে তুলেছেন, তা অবশ্য বলতে রাজি নন এই লাজুক ফরোয়ার্ড। তাঁর মতে, ‍‘এই ব্যাপারে আমার চেয়ে আমার সতীর্থ ও কোচেরা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি ম্যাচে আমার টেম্পারামেন্টে অনেক উন্নতি হয়েছে। আশা করি, এই বিষয়ে আরও উন্নতি হবে। আমার সব কোচেদের এর জন্য ধন্যবাদ। আমাকে খেলার যথেষ্ট সুযোগ দেওয়ার জন্য।’