বুয়েনস, ৫ সেপ্টেম্বর : পুরনো ছন্দ বজায় রেখেই আর্জেন্টিনার জার্সিতে দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার ভারতীয় সময় ভোর পাঁচটা নাগাদ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে নেমেছিল গতবারের বিশ্বজয়ীরা। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ভেনিজুয়েলার জাতীয় দল। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৩-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল লিওনেল স্কালোনির ছেলেরা। এদিন ও জোড়া গোল করে সমর্থকদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইয়ে দিলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। আর একটি গোল করে গেলেন লাউতারো মার্টিনেজ।
Messi Scores Brace in Argentina
এই ফুটবল ম্যাচ যে খুবই স্পেশাল হতে চলেছে সেইকথা নিজে মুখে আগেও জানিয়েছিলেন এলএমটেন। সেইমতো আজ মাঠে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁর গোটা পরিবারকে। আসলে এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে মরিয়া ছিল সকলেই। এমনকি গোটা স্টেডিয়াম ও ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। নিজেদের দেশের মাটিতে জাতীয় জার্সিতে শেষবারের মতো মেসিকে (Lionel Messi) চাক্ষুষ করতে সমর্থকদের আগ্ৰহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এক্ষেত্রে খুব একটা হতাশ করেননি মেসি।(Lionel Messi) নিজের পুরনো ছন্দ বজায় রাখলেন এই ম্যাচে। বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল স্কালোনির ছেলেরা।

Also Read | কবে নেশনস কাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে নামছে ভারত?
যারফলে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই এসে গিয়েছিল গোলের সুবর্ণ সুযোগ। আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে সক্ষম হলেও অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়ে যায় সেটি। কিন্তু তবুও কমেনি নীল-সাদা জার্সিধারী ফুটবলারদের দাপট। ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথেই পাসিং ফুটবলের মধ্যে দিয়ে প্রতিপক্ষের মাঝমাঠে ফাটল ধরিয়ে ডি পলরা উঠে আসতে শুরু করেছিল বারংবার। তারপর দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষেই চলে আসে বহু প্রতীক্ষিত গোল। যেটি করে গেলেন খোদ লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ৩৯ মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়েছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। সেখান থেকে ডিফেন্স চেরা পাস। চিপ শটে বল গোলে ঠেলে দিতে ভুল করেননি এলএমটেন।
Also Read | গুরসিমরত সিংকে ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিল ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের শেষে সেই একটি গোলেই এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে ও দেখা গেল সেই সমান দাপট। ম্যাচের চতুর্থ কোয়ার্টারের পর দলের মধ্যে বেশকিছু বদল আনেন আর্জেন্টাইন কোচ। তারপর যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে গতবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। এবার ঠিক ৭৬ মিনিটের মাথায় নিকো গঞ্জালেসের বাড়ানো বল হলো করে তীক্ষ্ণ হেডে গোল করে গেলেন লাউতারো মার্টিনেজ। যারফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার এই দেশ। তারপর ঠিক মিনিট চারেকের অপেক্ষা। নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নিলেন মেসি। এবার ১৬ নম্বর জার্সি ধারী ফুটবলার আলমাডার অ্যাসিস্ট থেকে গোল পেলেন তিনি। যদিও সেখানে শেষ নয়। পরবর্তীতে আরও একবার বল জালে জড়িয়ে দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ ব্যালেন্ডিওর জয়ী এই তারকা। কিন্তু ফের অফসাইডের ফাঁদে পড়তে হয় তাঁকে। নাহলে অনায়াসেই হ্যাটট্রিক করে ফেলতেন সকলের প্রিয় মেসি।
নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত দুই মিনিট সময় সংযুক্ত করা হয়েছিল ম্যাচ রেফারির তরফে। তারপর রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই আতস বাজি ফাটতে শুরু করে স্টেডিয়াম জুড়ে। তারপর দলের সকলেই একসাথে অভিবাদন জানাতে থাকেন তাঁদের প্রিয় তারকাকে। অন্যদিকে, কিছুটা হলেও চোখের জল আড়াল করতে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।
I don’t want to know how I will handle in his very last game because I am in tears now for his last Argentina home game. I keep having flashbacks to 2006 when I first saw his Argentina debut at the World Cup…🥹
pic.twitter.com/u8ccVJmc6S— Messi Fanatic (@MessiFanatic_) September 4, 2025