আজ কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby)। আপামর ফুটবলপ্রেমী বাঙালির জনতার কাছে উৎসবের দিন। কিন্তু আজ কলকাতা শান্ত, স্তব্ধ হয়ে আছে শহর।। না আছে টিকিটের হাহাকার না আছে গাড়ি ধরার তাড়াতাড়ি, সত্যিই সেই ডার্বির আমেজটা নেই। কারণ ভিন রাজ্যে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডার্বি। দুই দলের ফ্যানেরাই বলছেন কোথাও যেন মনটা ভারাক্রান্ত।এও বলছেন সব শেষে জয়টাই আসল, আজ ভিন্নরাজ্যই না হয় দেখুক কলকাতা ডার্বির মহিমা।
হাবড়ার ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, ‘আজ বড় ম্যাচ বা ডার্বি। যে ম্যাচকে নিয়ে বঙ্গবাসী তথা সারা ভারতবর্ষের আবেগ থাকে সবচেয়ে বেশি সেই ম্যাচে আজ লড়াই করতে মাঠে নামছে আমাদের দল। মাঠে ১১ জন নিয়ে এই লড়াইয়ের ময়দানে জ্বলে উঠতে হবে আমাদের। ইস্টবেঙ্গলের রক্ত কি তা এবার দেখানোর সময় এসেছে। ময়দানে নাই বা হোক বা টিভির পর্দা আছে। সেখানেই গলা ফাটাবো।’ এটা স্পষ্ট যে, এটা দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা।
আবার দীপঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক মোহনবাগান ফ্যানের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ‘আজ কলকাতার ডার্বি মনেই হচ্ছে না। অথচ একসময় ছিল যখন এই ম্যাচটা ঘিরে কত না উন্মাদনা। আমার প্রথম ইস্ট- মোহন ম্যাচ দেখা ১৯৬৯ এর শিল্ড ফাইনাল। যে ম্যাচে মোহনবাগান ৩-১ গোলে ইস্টবেঙ্গল কে হারিয়ে জয়ী হয়। গোল করে ছিলেন প্রণব গাঙ্গুলী ও সুকল্যাণ ঘোষ দস্তিদার , ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন বোধহয় পুঙ্গব কান্নন।
তারপর থেকে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান বহু ম্যাচ দেখেছি। দেখেছি রক্তাক্ত ১৬ অগাস্ট, ১৯৮০। আজ অনেক ফ্ল্যাশব্যাক হচ্ছে। চলে গেলাম আশির দশকে। তখন সদ্য যুবা। ইস্টবেঙ্গলী বন্ধুদের মুখে শুনলাম দুই ইরানি এসেছে। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মজিদ বিশকার , জামশেদ নাসিরি। ছুটলাম ইস্টবেঙ্গল মাঠে প্র্যাকটিস দেখতে। প্রথম দর্শনেই মুগ্ধ হয়েছিলাম মজিদের মুন্সীয়ানায়। বল ধরা, ছাড়া , অসম্ভব গেম সেন্স আর জামশিদের গোলের জন্য ছোঁকছোঁকানি। এরপর এই জুটির কত খেলা দেখেছি। এমনকি জামশেদ যখন মহমেডানে, হাওড়া ইউনিয়ন গ্যালারিতে বসে জামশেদের খেলা দেখেছি।’ সবমিলিয়ে কলকাতা ডার্বিহীন হওয়ায় মানুষের মন যে ভালো নেই তা স্পষ্ট।