ডার্বির ভেন্যু বদল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ বাগান কর্তাদের

নির্ধারিত সূচি অনুসারে আগামী ১৯ শে জুলাই আয়োজিত হতে চলেছে কলকাতা লিগের ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ। বর্তমানে সেদিকেই নজর রয়েছে বাংলার সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। মোহনবাগান…

East Bengal-Mohun Bagan Kolkata Derby

নির্ধারিত সূচি অনুসারে আগামী ১৯ শে জুলাই আয়োজিত হতে চলেছে কলকাতা লিগের ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ। বর্তমানে সেদিকেই নজর রয়েছে বাংলার সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিঃসন্দেহে বাড়তি উদ্দীপনা যুক্ত করে ভারতীয় ফুটবলে। তাই এই ম্যাচের গুরুত্ব কিংবা মাহাত্ম্য নতুন করে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে সিনিয়র দলের পরিবর্তে জুনিয়র কিংবা রিজার্ভ ফুটবলারদের সামনে রেখেই প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে অংশ নেয় ময়দানের দুই প্রধান।

তবুও কমেনি সেই জৌলুষ। বাঙাল-ঘটির মহারনে জুনিয়র দলের ফুটবলাররা অংশ নিলেও এখনো পর্যন্ত থেকে গিয়েছে সেই জনপ্রিয়তা। গ্যালারি ভরে ওঠে উভয় দলের পতাকায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের এই ডার্বি ম্যাচ বারাসত স্টেডিয়ামে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। নানাবিধ সমস্যার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে কল্যাণী স্টেডিয়ামে। নির্ধারিত দিনে বিকেল ৫:৩০ থেকে শুরু হবে লিগের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেই নিয়ে এবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় সবুজ-মেরুন কর্তাদের তরফে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন দেবাশিস দত্ত এবং সৃঞ্জয় বসু।

   

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সৃঞ্জয় বসু বলেন, “আমরা সুপার জায়ান্টের সঙ্গে কথা বলছি। মোহনবাগান- ইস্টবেঙ্গল ডার্বি একটা জায়গায় হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটা হচ্ছে না। আমরা আশা করেছিলাম এই ম্যাচ বড় কোথাও হবে। এটা সত্যিই হতাশাজনক।” পাশাপাশি দেবাশিস দত্ত বলেন, ” ডার্বি ম্যাচে বিশেষ করে ক্লাবের সদস্যদের জন্য পৃথক টিকিট বরাদ্দ থাকে। কিন্তু এবারের এই কলকাতা লিগের ভেন্যু ঘোষণার সময় তাঁর সঠিক উল্লেখ করা হয়নি। আমি দেখলাম আগেরদিন আইএফএ সেক্রেটারি সাংবাদিক বৈঠক করলেন এবং সেখানে টিকিটের দামের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের সদস্য সমর্থকদের কি হবে সে কথা কোথাও বলা হয়নি। সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব।”

Advertisements

পাশাপাশি কল্যাণীর মত স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উপস্থিতির নিয়ে ও সংশয় প্রকাশ করেন দেবাশিস দত্ত। সেইসাথে মেম্বার্স গ্যালারি এবং সাধারণ সমর্থকদের গ্যালারির ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গ ও উঠে আসে তাঁর মুখ থেকে।