Tulsidas Balaram: তারকা নেই, তাই ডার্বি নিয়ে আগ্রহ নেই বলরামের

মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে চতুর্থ হওয়া ভারতীয় ফুটবল দলের একমাত্র জীবিত সদস্য তুলসীদাস বলরাম (Tulsidas Balaram)। ৮৬ বছর বয়স। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। ১৯৬১-তে অধিনায়ক…

Former footballer Tulsidas Balaram

মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে চতুর্থ হওয়া ভারতীয় ফুটবল দলের একমাত্র জীবিত সদস্য তুলসীদাস বলরাম (Tulsidas Balaram)। ৮৬ বছর বয়স। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬২ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন। ১৯৬১-তে অধিনায়ক হয়েছিলেন। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। কিন্তু ক্লাব ফুটবল নিয়ে তার আর কোনও আগ্রহ নেই।

ফোনে কথা বলার সময় তার স্পষ্ট কথা, “তারকা কোথায়? কৃশানু দে-র পর চোখে লেগে থাকা বাঙালি ফুটবলার কোথায়? যার খেলা দেখা জন্য টিভি-র সামনে বসব। আমাদের সময়ের কথা ছেড়ে দিন, একের পর এক অসাধারণ ফুটবলার। তাদের নিয়ে আবেগও অন্যরকম ছিল। কিন্তু নয়ের দশকের পর থেকে

কলকাতার ফুটবল নিয়ে আমার আগ্রহ ক্রমশ কমে গিয়েছে। তাও বিজয়ন, বাইচুং বা ব্যারেটোর খেলা দেখতাম। খারাপ লাগত না ওদের নৈপূণ্য। কিন্তু তারপর থেকে আর দেখি না।” আগামী ২৮ অগস্ট মরশুমের প্রথম কলকাতা ডার্বি। বলরাম বলছেন, “মাঠে থাকে কয়েকজন রোবট। তাদের খেলায় কোনও বৈচিত্র্য থাকে না, কী দেখব!” আইএসএল নিয়েও কথা হল। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, শুরু হওয়ার পর আইএসএলের কিছু ম্যাচ তিনি দেখেছেন।

কিন্তু প্রথম মরশুমের আইএসএলে কলকাতার দলে প্রাক্তন বিশ্বকাপার লুই গার্সিয়া ছাড়া আর কারও খেলা তার মনে নেই। “গার্সিয়া ছেলেটার খেলা দেখে মনে হয়েছিল বাকিদের চেয়ে ও আলাদা।” আর তার সাধের ইস্টবেঙ্গল নিয়েও বলরামের বিশেষ আগ্রহ নেই। বললেন, “আইএসএলে ত খুব খারাপ ফল করেছে। আমি দেখিওনি অদের খেলা। আসলে এখন তো আগের মত ক্লাবগুলোতে জহুরী নেই যারা জেলায় ঘুরে ঘুরে সুরজিৎ, সমরেশ চৌধুরী, শ্যাম থাপা, সুধীর কর্মকারদের মত তারকাদের তুলে আনবে। তাই এই দূরবস্থা।”