ইগর স্টিমাচের পর মানোলো মার্কুয়েজের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল এআইএফএফ। ভারতীয় ফুটবল (Indian football) দলের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য সেই সময় দেশীয় কোচদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি হাইপ্রোফাইল আবেদনপত্র জমা করলেও শেষ পর্যন্ত মানোলোর উপরেই ভরসা রেখেছিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। মনে করা হয়েছিল এই স্প্যানিশ কোচের তত্ত্বাবধানেই হয়তো আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াবে ব্লু-টাইগার্সরা। আসলে গত বেশ কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ক্লাব ফুটবল সার্কিটে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন মানোলো। হায়দরাবাদ এফসির হয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এফসির গোয়ার যোগদান করেছিলেন এই হাইপ্রোফাইল।
তারপর থেকেই নতুন ছন্দে ধরা দিতে শুরু করে গোয়া শিবির। এই সবদিক মাথায় রেখেই তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছিল এআইএফএফ। কিন্তু খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপে লেবানন সহ অন্যান্য দল গুলির কাছে পরাজিত হওয়ার পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। তারপরেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলের খারাপ পারফরম্যান্স থাকায় এই বিদেশি কোচের দায়িত্ব থাকা নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা। শেষ পর্যন্ত পারস্পরিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে জাতীয় দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এফসি গোয়ার এই সুপার কাপ জয়ী কোচ।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে কার হাতে উঠবে দলের দায়িত্ব। সেই অনুযায়ী এআইএফএফ এর তরফে জারি করা হয়েছিল কোচ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন। সময় এগোনোর সাথে সাথেই একাধিক দেশি ও বিদেশি কোচ আবেদনপত্র জমা করেন। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই নয়া কোচের নাম ঘোষণা করবে ফেডারেশন। সেক্ষেত্রে মূলত নজর রয়েছে তিন কোচের দিকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন স্টিফেন কনস্টানটাইন, স্টেফান তারকোভিচকে এবং ভারতীয় প্রশিক্ষক খালিদ জামিল। উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে সুনীলদের ব্লু-টাইগার্সের দায়িত্ব পালন করছিলেন এই ব্রিটিশ ম্যানেজার।
তাঁর সময় আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখিয়েছিল ভারতীয় দল। পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব পালন করার পর পাকিস্তানের জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই কোচ। আবারও তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। অন্যদিকে, বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় ফুটবল সার্কিটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে আসছেন খালিদ জামিল। দুই প্রধানের দায়িত্ব সামাল দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এমনকি গত মরসুমে তাঁরগ তত্ত্বাবধানে ভালো পারফরম্যান্স করেছিল জামশেদপুর। এছাড়াও নজর রয়েছে তোরকোভিচকের দিকে। মনে করা হচ্ছে কোচের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে খালিদ জামিল।