গত বছরের শেষেই মিকেল স্ট্যাহরে সহ তাঁর সকল স্টাফেদের বিদায় জানিয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স (Kerala Blasters)। আসলে বহু প্রত্যাশা নিয়ে এই সুইডিশ কোচকে দলের দায়িত্ব প্রদান করা হলেও দলকে আশানুরূপ ফল দিতে ব্যর্থ থাকেন এই বিদেশি কোচ। বিশেষ করে ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে কেরালা বিদায় নেওয়ার পর আইএসএলে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। ধাক্কা খেতে হয়েছিল একের পর এক ম্যাচে। যার প্রভাব এসেছিল পয়েন্ট টেবিলে। অন্যান্য মরসুম গুলিতে দলের লড়াকু পারফরম্যান্স থাকলেও এবার সেটা একেবারেই ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ জমতে শুরু করেছিল সমর্থকদের মধ্যে।
এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে থেক্বাথারা পুরুষোথামণের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে দলকে ছন্দ ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করতে থাকেন এই ভারতীয় কোচ। একটা সময় সুপার সিক্সের লড়াই এই দলের কাছে অবান্তর মনে হলেও বর্তমানে সেটা যথেষ্ট কঠিন দাঁড়িয়েছে। তবে অসম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের বাকি দলগুলিকে টেক্কা দিতে হলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই জয় সুনিশ্চিত করতে হবে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাবকে। পূর্বে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজিত হতে হলেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে খুব একটা সমস্যা হয়নি আদ্রিয়ান লুনাদের।
গত অ্যাওয়ে ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছে ওয়েন কোয়েলের শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসিকে। এবার সেই ধারা বজায় রেখে সুপার সিক্সের লড়াইয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখাই এখন অন্যতম লক্ষ্য কোয়ামি পেপরাদের। সেই অনুযায়ী আগামী ১৫ ই ফেব্রুয়ারি হোম ম্যাচে টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলতে নামবে কেরালা ব্লাস্টার্স। এই ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট সংগ্রহ করে সুপার সিক্সের লড়াইয়ের নিজেদের টিকিয়ে রাখাই এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ এই ফুটবল ক্লাবের কাছে। তবে এসবের মাঝেই বিরাট ধাক্কা লেগেছে দলের অন্দরে।
অনুশীলন চলাকালীন চোটের কবলে পড়তে হয়েছে দলের তারকা ফুটবলার নোয়া সাদাউকে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি সেই অনুযায়ী আগামী দুইটি সপ্তাহ হয়তো মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে এই মরোক্কান ফুটবলারকে। যারফলে স্বাভাবিকভাবেই আসন্ন মোহনবাগান ম্যাচে তাঁকে মাঠে পাবে না দল। যা নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন যুক্ত করতে পারে সবুজ-মেরুন শিবিরকে।