মনে পড়ে জয়ী বলের (Joyee Football) কথা? ২০১৭ সালে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ঘরের তৈরি ফুটবলের কারখানা। রাজ্যের যাবতীয় ফুটবল আসে জলন্ধর থেকে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আত্মনির্ভর হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসাহে। উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষদের একটি বড় অংশকে এই কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল। তৈরি করা হয়েছিল রিফিউজি হ্যান্ডিক্রাফট ম্যানেজিং কমিটি।
যার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে ছিলেন বিদেশ বোস, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন আন্তর্জাতিক মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক। সেই কমিটির উদ্যোগে ভীমপুর, চন্দননগর, তারকেশ্বর এবং বর্ধমানে চালু হয়েছিল জয়ী বল তৈরির কারখানা। মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন বলের নামকরণ।
সেই জয়ী বলের কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান মানস ভট্টাচার্য বুধবার এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় জানালেন, এখনও তাদের কাছে প্রায় ২৭ হাজার ফুটবল পড়ে আছে। “অর্ডার না এলে আর বল তৈরি করা যাবে না,” বলছেন মানস ভট্টাচার্য।
জয়ী বল রাজ্যের সর্বত্র দেওয়া হয়েছে। মানসবাবু বললেন, “বলের গুণগত মান খুবই ভাল। বল চট করে ছেঁড়েনি বা ফাটেওনি। এখনও বিভিন্ন ক্লাবগুলোকে এই ফুটবলই দেওয়া হয়। কিন্তু করোনার জন্য দুটো বছর আমাদের শেষ করে দিয়েছে। যারা ফুটবল তৈরি করত তারা অন্য পেশায় চলে গিয়েছে। একইসঙ্গে মার্কেটিংটাও আরও গুছিয়ে করতে পারলে হয়ত এই ফুটবলের চাহিদা বাজারে আরও বেশি করে তৈরি করা যেত।” মানসবাবুর কথা অনুযায়ী এখন জয়ী ফুটবলের কারখানাগুলোর মধ্যে শুধু বর্ধমানের কারখানা রয়েছে। কিন্তু লেবার সমস্যা রয়েই গিয়েছে।