Neha Santra: মনের জোর নিয়ে কলকাতার ক্লাবে খেলতে চান বড়জোড়ার নেহা

ভারতীয় ফুটবলে আগের থেকে জৌলুস বেড়েছে। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও ফুটবল খেলছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পাশাপাশি জাতীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে কলকাতার ক্লাব। ওপর ওপর সব…

Neha Satara

ভারতীয় ফুটবলে আগের থেকে জৌলুস বেড়েছে। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও ফুটবল খেলছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের পাশাপাশি জাতীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে কলকাতার ক্লাব। ওপর ওপর সব সুন্দর মনে হতে পারে। কিন্তু বাংলার আসল ছবি লুকিয়ে সেই গ্রামেই। সত্যি কি সব মেয়েরা পারছেন ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বুট জোড়া পায়ে পরে মাঠে দৌড়তে?

বাঁকুড়ার নতুনগ্রামের নেহা সাঁতরা (Neha Santra) ফুটবলার হতে চান। স্কুলে পড়ার সময় থেকে ফুটবল তাঁর পছন্দের বিষয়। ইস্টবেঙ্গল প্রিয় ক্লাব। গ্রাম বাংলার বহু ছেলেমেয়ের মতো নেহার কাছেও কলকাতার ক্লাবে খেলা একটা স্বপ্নের মতো। ট্রেনে বা বাসে দুর্গাপুর থেকে কলকাতা আসা যায় ঘন্টাখানেকের মধ্যে। নেহার কাছে এই দূরত্ব এখন কয়েক যোজনের।

   

বড়জোড়া থানার নতুনগ্রামে সুযোগ সুবিধা খুব একটা নেই। মেয়েরা ফুটবল খেলে কেরিয়ার তৈরি করবে এই ভাবনা এখন সবার ভাবনায় প্রবেশ করেনি। যার ফলে ছেলেদের জন্য প্র্যাকটিস করার মোটামুটি যাওবা সুযোগ সুবিধা রয়েছে মেয়েদের জন্য সেটাও নেই। ফলত নেহাকে অনুশীলন ও ফুটবল অভ্যাস চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছুটে যেতে হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বাবা সবজি বিক্রেতা, মা গৃহ বধূ। ফলত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কলকাতায় এসে ট্রায়াল দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু ” সাপোর্ট পাই না “, বলেছেন নেহা।

সম্প্রতি আই লীগের নেরোকা ফুটবল দলের বিবেক সিং নেহার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ইস্টবেঙ্গল জার্সি উপহার দিয়ে ‘বোন’-এর মনোবল বাড়িয়েছেন। আসলে প্রতিভা যেখানেই থাক, চাপ পড়ে থাকে না।

“আমি এখন মাঝের মানা নেতাজি সুভাষ সংঘ ক্লাবে প্র্যাকটিস করি। এখানে যীশু স্যার আমাদের ভালো অনুশীলন করান। দূর্গাপুর লীগের জন্য অ আ ক খ ক্লাবে সই করেছি”, বলেছেন নেহা। আপাতত দূর্গাপুর লীগকে পাখির চোখ করেছেন তিনি।