অনবদ্য অ্যালবিনো! মশালবাহিনীকে আটকে কী বললেন এই গোলরক্ষক?

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নয়া মরসুমে অনবদ্য ছন্দে রয়েছে জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল এফসি গোয়া। তারপর সেই ধারা বজায় ছিল মুম্বাই…

Jamshedpur FC Goalkeeper Albino Gomes

ইন্ডিয়ান সুপার লিগের নয়া মরসুমে অনবদ্য ছন্দে রয়েছে জামশেদপুর এফসি (Jamshedpur FC)। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল এফসি গোয়া। তারপর সেই ধারা বজায় ছিল মুম্বাই সিটি ম্যাচে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে যেতে হয়েছিল খালিদ জামিলের ছেলেদের। কিন্তু সেই হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোই অন্যতম লক্ষ্য ছিল জর্ডান মারিদের। সেই অনুযায়ী শনিবার বিকেলে নিজেদের ঘরের মাঠে তাঁরা খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের বিপক্ষে।

নির্ধারিত সময়ের শেষে দুই গোলের ব্যবধানে আসে জয়। প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষ দলের দাপট থাকলেও তাঁতে খুব একটা সমস্যা হয়নি জামশেদপুর (Jamshedpur FC)দলের। বিশেষ করে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময় রাই তাচিকাওয়ার অনবদ্য গোলের পর ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে গোটা পরিস্থিতি। তারপর থেকেই ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল প্রতিপক্ষ দল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। জামশেদপুর (Jamshedpur FC) দলের দক্ষ গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমসের (Albino Gomes) হাতে আটকে যেতে হয় বারংবার।

   

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ উঠে আসার সময় পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। যা কিছুটা হলেও চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল কোচ খালিদ জামিলকে‌। কিন্তু তিন কাঠির এই ভরসাযোগ্য প্রহরীকে পরাস্ত করা সম্ভব ছিল না সাউল ক্রেসপোর পক্ষে। পরবর্তীতে আরও একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করেছিলেন ক্লেটন সিলভা থেকে শুরু করে মাদিহ তালালরা। সেগুলি অনায়াসেই প্রতিহত করেন জামশেদপুর (Jamshedpur FC) দলের এই গোলরক্ষক। যারফলে এই ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথম ক্লিনশিট পেলেন অ্যালবিনো।

ম্যাচ শেষে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথম ক্লিনশিট রাখতে পেরে আমি যথেষ্ট খুশি। গত তিন ম্যাচ ধরে আমাদের দল অনবদ্য পারফরম্যান্স করে আসছে‌। কিন্তু কিছুতেই ক্লিনশিট রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। আমাদের দলের সকলেই আজ যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। যারফলে আজ এই জয় এসেছে।” সেইসাথে পেনাল্টির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” আমি এই পেনাল্টি সেভ করা নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় আমাদের কোচ এই পেনাল্টি শ্যুট আউটের দিকে যথেষ্ট নজর দিয়েছিলেন। সেজন্য আরও সহজ হয়েছে। ঘরের মাঠে জয় আশায় আমি যথেষ্ট খুশি।”