স্পেনকে হারিয়ে ইউরো ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য ইতালি

লন্ডন: রবার্তো মানচিনির হাত ধরে অন্য ইতালিকে দেখছে ফুটবলবিশ্ব৷ ওয়েম্বলিতে ফুটবলীয় রোমাঞ্চে শেষ হাসি হাসল ইতালি৷। টাই-ব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে উঠল মানচিনির দল।…

লন্ডন: রবার্তো মানচিনির হাত ধরে অন্য ইতালিকে দেখছে ফুটবলবিশ্ব৷ ওয়েম্বলিতে ফুটবলীয় রোমাঞ্চে শেষ হাসি হাসল ইতালি৷। টাই-ব্রেকারে স্পেনকে হারিয়ে ইউরো কাপের ফাইনালে উঠল মানচিনির দল। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হয়৷ প্রথমার্থ গোলশূন্য থাকার পর ৬০ মিনিটে ফেডেরিকো কিয়েসার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইতালি৷ কিন্তু স্পেনের হয়ে ৮০ মিনিটে গোল শোধ করেন আলভারো মোরাতা। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে৷ পেনাল্টি শুট-আউটে বাজিমাত করে ইতালি৷

টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ইউরো কাপের ফাইনালে নামবে মানচিনির দল৷ লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে ইতালি। আজুরিদের সামনে ভেঙে পড়ে স্প্যানিশ আর্মার্ডা৷ জয়োল্লাসে ফেটে পড়ে ইতালি, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার আনন্দে আত্মহারা আজুরিরা৷

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

টাই-ব্রেকারে লোকাতেল্লির নেওয়া ইতালির প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। কিন্তু নিজেদের প্রথম শট উড়িয়ে মেরে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন দানি ওলমো। তারপর আর পিছন ফিরে তাকায়নি মানচিনির ছেলেরা৷ পরের তিন শটে একে একে বল জালে পাঠান বেলোত্তি, বোনুচ্চি, বের্নারদেস্কি। স্পেনের দুই ও তিন নম্বর শটে জেরার্দ মোরেনো ও থিয়াগো আলকান্তারা গোল করেন। কিন্তু মোরাতার শট আটকে দেন জানলুইজি দোন্নারুমা। এরপর জর্জিনিও ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়াতেই সেলিব্রেশন শুরু হয়ে যায় আজুরিদের৷

টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত থেকে ইউরোর ফাইনালে ইতালি। ইউরোপের দুই বিশ্বজয়ী ফুটবল শক্তির এই সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল প্রবল। এই দুই দেশই আকর্ষণীয় ফুটবল খেলে শেষ চারে উঠে এসেছিল। ম্যাচের শুরু থেকে দেখা মেলে স্পেনের চিরপরিচিত ফুটবল। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি৷ ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিতে থাকে ইতালি। প্রতি আক্রমণ থেকেই দুর্দান্ত এক ডান পায়ের বাঁকানো শটে ৬০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন জুভেন্তাসের উইঙ্গার কিয়েসা।

গোল খেয়ে স্পেন আরও বেশি চেপে ধরে ইতালিকে। এর মধ্যে অবশ্য ফেরান তোরেস ও মিকেল ওইয়ারসাবালের জায়গায় জেরার্দ মোরেনো ও আলভারো মোরাতাকে মাঠে নামায় লুই হেনরিকে। অলমোর পাসে ৮০ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে স্পেনকে সমতায় ফেরান মোতেরা। ইউরোর ইতিহাসে স্পেনের হয়ে ছ’টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন তিনি। পেছনে ফেললেন ফার্নান্দো তোরেসকে। মোতেরার গোল হেনরিকের মুখে হাসি ফোটালেও টাই-ব্রেকারে বাজিমাত করেন মানচিনির ছেলেরা৷

৯ বছর আগের ফাইনালে এই স্পেনের বিরুদ্ধে ভরাডুবি হয়েছিল ইতালির। এবার সেই স্পেনকে হারিয়েই ফাইনালে উঠল আজুরিরা। টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত আগামী রবিবার এই ওয়েম্বলিতে ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে ইতালি৷ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড কিংবা ডেনমার্ক।