ISL: জামশেদপুরের ইস্পাতের ধাক্কা খেয়ে ডুবল পালতোলা নৌকা

আশা জাগিয়েও শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা হল না এটিকে মোহনবাগানের। আবারও অধরা থেকে গেল লিগ শিল্ড (ISL)। সোমবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ১-০ গোলে…

Mohun Bagan lost 1-0 against Jamshedpur FC

আশা জাগিয়েও শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করা হল না এটিকে মোহনবাগানের। আবারও অধরা থেকে গেল লিগ শিল্ড (ISL)। সোমবার জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ল সবুজ-মেরুন বাহিনী।

ম্যাচটি যে মোহনবাগানকে শুধু জিততে হত তাই নয়, দুই গোলের ব্যবধান রাখতে হত শীর্ষে পেঁছতে হলে। কিন্তু জয় তো দূরস্ত, জামশেদপুরের গোলমুখই খুলতে পারল না জুয়ান ফেরান্দোর শিষ্যরা। উলটে ম্যাচটি হেরে গিয়ে খোয়াল দ্বিতীয স্থানও। সেইসঙ্গে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার দৌড়ও শেষ হল পালতোলা নৌকার।

   

আইএসএলের ইতিহাসে প্রথমবার শীর্ষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল ইস্পাতনগরীর দল। আর প্রথমবারেই বাজিমাত। টানা সাত ম্যাচ জিতে নয়া নজির গড়ার পাশাপাশি একেবারে লিড শিল্ড ঘরে তুলে থামল তাদের দৌড়। লিগ টপার হওয়ায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার ছাড়পত্রও জোগাড় করে নিল জামশেদপুর। ২০ ম্যাচ শেষে ৪৩ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে লিগ শেষ করল তারা।

এদিকে, ২০ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্টেই দাঁড়িয়ে থাকল সবুজ-মেরুন। তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করল তারা। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে হাযদরাবাদ এফসি। এছাড়া ৩৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করা কেরালা ব্লাস্টার্সও পৌঁছে গিয়েছে আইএসএলের সেমিফানাইলে। এদিন পুরো ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছে মোহনবাগানই। কারণ ম্যাচটি তাদের কাছে ছিল মাস্ট উইন।

অন্যদিকে, ড্র করলেই কাজের কাজ হয়ে যে জামশেদপুরের। সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছিল তারা। ম্যাচ জুড়ে বাগান ফুটবলাররা ১১টি শট নিলেও তিনটি ছিল লক্ষ্যে। জামশেদপুরেরও তিনটি শট লক্ষ্যে ছিল, কিন্তু তার মধ্যেই একটিতে গোল পেয়ে যায় তারা। ম্যাচের ৫৬মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন রুবেন দিয়াজ।