চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে ধরা দিয়েছিল পাঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। প্রথম ম্যাচেই তাঁরা আটকে দিয়েছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সকে। যা নিঃসন্দেহে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল সকলকে। পরবর্তীতে সেই ধারা বজায় রেখেই একের পর এক ম্যাচে সহজ জয় পেয়েছিল পাঞ্জাব এফসি। সেজন্য একটা সময় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। স্বাভাবিকভাবেই সুপার সিক্সের অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল পাঞ্জাব। যদিও পরবর্তীতে বজায় থাকেনি সেই ধারাবাহিকতা। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় লেগের শুরু থেকেই পয়েন্ট নষ্ট করতে থাকে প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিসের ছেলেরা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছিল পয়েন্ট টেবিলে। এছাড়াও দলের বেশকিছু ফুটবলারদের চোট আঘাতের সমস্যা যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছিল ম্যানেজমেন্টকে। এমন পরিস্থিতিতে দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় পেট্রোস গিয়াকৌমাকিসকে। ভারতে আসার পূর্বে উরুগুয়ের দ্বিতীয় ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব ম্যাকেডোনিকোস নিয়াপোলিসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সেখান থেকেই যোগদান করেন পাঞ্জাব এফসিতে। তারমধ্যে দলের জার্সিতে খেলেছেন প্রায় নয়টি ম্যাচ। সেক্ষেত্রে একটি গোলের পাশাপাশি দুইটি অ্যাসিস্ট থেকেছে এই গ্ৰীক তারকার।
হিসাব অনুযায়ী দেখলে চলতি মে মাস পর্যন্ত গিয়াকৌমাকিসের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে পাঞ্জাব এফসির। আগামী মরসুমে আদৌ তাঁকে রাখা হবে কিনা সেই নিয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ম্যানেজমেন্ট। যতদূর খবর, আসন্ন সুপার কাপে ফুটবলারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ম্যানেজমেন্ট। এসবের মাঝেই তাঁকে নাকি দলে নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের একাধিক ফুটবল ক্লাব। যার মধ্যে রয়েছে আইএসএল জয়ী একটি দল। সেইমতো প্রাথমিক স্তরের কথাবার্তা ও নাকি শুরু করা হয়েছে এই ফুটবলারের সঙ্গে।
তাই আসন্ন ফুটবল মরসুমে গিয়াকৌমাকিসকে অন্য দলে খেলতে দেখলে খুব একটা অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অপরদিকে, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের হতাশা ভুলে আসন্ন সুপার কাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য থাকবে পাঞ্জাব এফসির।