অবশেষে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খাতা খুলল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মুখোমুখি হয়েছিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। নির্ধারিত সময়ের শেষে গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হল এই ম্যাচ। যারফলে আইএসএলে টানা ছয়টি ম্যাচ হারের পর পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল। বলাবাহুল্য, মরসুমের এই তৃতীয় ডার্বির প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই জোড়া লাল কার্ড দেখতে হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যা নিঃসন্দেহে বিরাট বড় ধাক্কা ছিল সকলের কাছে।
প্রতিপক্ষ দলের তুলনায় পরিস্থিতির বিপরীতে থেকে ও অনবদ্য লড়াই করেন আনোয়ার আলি’রা। যারফলে নয়জনে ফুটবল খেলে ও পয়েন্ট নিশ্চিত হয়ে যায় মশাল ব্রিগেডের। অপরদিকে, ফ্রাঙ্কা থেকে শুরু করে ফানাই কিংবা অ্যালেক্সিস গোমেজের মতো ফুটবলাররা গোলের মুখ খুলতে ঘনঘন আক্রমণ করলেও বারংবার আটকে যেতে হয় ইস্টবেঙ্গলের জমাট বাঁধানো রক্ষণে। প্রতিপক্ষের তুলনায় বাড়তি অ্যাডভান্টেজ নিয়ে ফুটবল খেলে ও পয়েন্ট নষ্ট করায় কিছুটা হলেও হতাশ আন্দ্রে চেরনিশভ।
হিসাব অনুযায়ী এদিন ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ থাকলেও প্রথম থেকেই দাপিয়ে খেলতে থাকে মহামেডান। ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারে সাদা-কালো ফুটবলারদের দাপটে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল হিজাজি মাহের’রা। তবে সময়ের সাথে সাথেই প্রতিআক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে মশাল ব্রিগেড। নাওরেম মহেশ সিং থেকে শুরু করে গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের একি পরে আক্রমণে গোলের সুযোগ তৈরি হলেও সেটি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছে ততই তুল্যমূল্য লড়াই চলতে থাকে দুই প্রধানের মধ্যে।
কিন্তু প্রথমার্ধের তৃতীয় কোয়ার্টারে জোড়া লাল কার্ডে বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি। তবুও ঠান্ডা মাথায় খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিতে থাকেন কোচ অস্কার ব্রুজন। প্রথমার্ধে অমীমাংসিত ফলাফলের পর দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই যথেষ্ট রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লাল-হলুদ। তবে সুযোগ বুঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে ভোলেননি সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে মাদিহ তালালরা। তবে নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর রেফারির তরফে অতিরিক্ত দশ মিনিট খেলা পরিচালনা করা হলেও কোনও বদল আসেনি ম্যাচের ফলাফলে।