ফের পরাজয়, আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক ইস্টবেঙ্গলের

জয়ের দেখা নেই। ডুরান্ড কাপের গ্ৰুপ পর্বের পর কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলকে। সেই হতাশা ভুলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে…

FC Goa vs East Bengal

জয়ের দেখা নেই। ডুরান্ড কাপের গ্ৰুপ পর্বের পর কোয়ার্টার ফাইনালেই ছিটকে যেতে হয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলকে। সেই হতাশা ভুলে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও এখনও পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। টানা দুইটি অ্যাওয়ে ম্যাচের হতাশা ভুলে শুক্রবার নিজেদের ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার (FC Goa ) বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৩-২ গোলের ব্যবধানে মানোলো মার্কুয়েজের দলের কাছে পরাজিত হতে হল কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেদের।

এদিন এফসি গোয়ার হয়ে হ্যাট্রিক করেন স্প্যানিশ তারকা বোরহা হেরেরা (Borja Herrera)। অপরদিকে লাল-হলুদের জার্সিতে গোল পান মাদিহ তালাল এবং ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গা। যারফলে পুরনো ট্রেন্ড বজায় রেখে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকল মশাল ব্রিগেড। অন্যদিকে যুবভারতীর বুকে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করার ফলে তিন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পাঁচ নম্বরে উঠে আসলো এফসি গোয়া ফুটবল ক্লাব। তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল দলকে‌।

   

মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শানিয়ে দল ঘন ঘন আক্রমণে উঠলেও প্রথমদিকে গোলের মুখ খুলতে গিয়ে কালঘাম ছুঁটে গিয়েছিল ফুটবলারদের। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করে আকাশ সাঙ্গওয়ানরা। তাঁদের সামাল দিতে গিয়ে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয় আনোয়ার আলি থেকে শুরু করে হেক্টর ইউস্তেদের। এভাবেই ম্যাচের ঠিক ১৩ মিনিটের মাথায় বল নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগে হানা দিয়েছিলেন গোয়ার এক ফুটবলার। তাঁকে আটকাতে গিয়ে গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন দেবজিত মজুমদার।

প্রথমবার পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হলেও পরবর্তীতে সেটা কাজে আসেনি। সুযোগ বুঝেই বল জালে জড়িয়ে দেন বোরহা হেরেরা। যারফলে এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। তারপর মিনিট কুড়ির মাথায় ও সেই এক পরিস্থিতি। এবার ও দূরপাল্লার শটে গোল তুলে নেন বোরহা।‌ জবাবে আক্রমণে উঠে ম্যাচের ২৯ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করে ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই ব্যবধান কমান মাদিহ তালাল। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে গোয়া শিবির।

তারপর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে অনবদ্য আক্রমণ করে ও ব্যবধান কমাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় ক্লেটন সিলভাদের। তারপর ৭১ মিনিটের মাথায় ফের গোল। হ্যাট্রিক করলেন বোরহা হেরেরা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ডেভিড গোল করলেও ম্যাচে ফেরা আর সম্ভব হয়নি।