IPL : দুরন্ত মার্শ, বিধ্বংসী ঠাকুর, সহজ জয় দিল্লির

IPL : পয়েন্টের বিচারে দুটি দলই ছিল একই অবস্থায়। দু’জনের ঝুলিতেই ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। ফলে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) এবং পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে কেউ…

IPL : পয়েন্টের বিচারে দুটি দলই ছিল একই অবস্থায়। দু’জনের ঝুলিতেই ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। ফলে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) এবং পঞ্জাব কিংসের ম্যাচে কেউ কাউকে যে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না, তা অনুমেয় ছিল। একমাত্র মিচেল মার্শের ইনিংস বাদ দিলে শুরু থেকে পঞ্জাবও দারুণ ভাবে শুরু করেছিল। কিন্তু ডোবাল ব্যাটিং বিপর্যয়। তবে শেষ দিকে আবার নায়কোচিত ইনিংস খেলেন জীতেশ শর্মা। তবে ট্র্যাজিক নায়ক হয়েই থাকতে হয় তাঁকে। শেষ পর্যন্ত দিল্লির কাছে ১৭ রানে হেরে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল পঞ্জাব।

নিজেদের বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফ কার্যত নিশ্চিত। এই সমীকরণ নিয়েই টসে জিতে দিল্লি ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন লিভিংস্টোনের হাতে। হতাশ করেননি ইংরেজ অলরাউন্ডার। প্রথম বলেই ফর্মে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর অবশ্য ওপেন করতে নামা সরফরাজ খান (১৬ বলে ৩২) ছোট্ট একটা ঝড় তোলেন। তিনি ফিরতেই মিচেল মার্শকে সঙ্গ দেন ললিত যাদব (২৪)। ব্যাস ওইটুকুই!

লিভিংস্টোন আর আর্শদীপ সিংয়ের দাপটে আর কেউই ব্যাট হাতে নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। ব্যতিক্রম মার্শ। অজি তারকা ৪৮ বলে ৬৩ রান করে দলকে পৌঁছে দেন ভদ্রস্থ স্কোরে। ৭ উইকেট খুইয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫৯ রান তোলে দিল্লি। পঞ্জাবের হয়ে লিভিংস্টোন এবং আর্শদীপ নেন তিনটি করে উইকেট।

জবাবে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বেয়ারস্টো (১৫ বলে ২৮)। তাঁর ঝড়ে মনে হচ্ছিল হেলায় দিল্লি জয় করতে চলেছে পঞ্জাব। কিন্তু এই ইংরেজ ব্যাটার ফিরতেই পালটে যায় চিত্রনাট্য। একে একে সাজঘরের পথ ধরতে থাকেন রাজাপক্ষ, ধাওয়ান, মায়াঙ্ক, লিভিংস্টোনরা। একদিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে যখন নিশ্চিত হারের মুখে এগিয়ে যাচ্ছিল পঞ্জাব, তখন একা কুম্ভ হয়ে দলকে জেতানোর লড়াই চালাচ্ছিলেন জীতেশ শর্মা।

চলতি আইপিএলে এর আগেও মারকাটারি ব্যাটিং করে নজর কেড়েছেন জীতেশ। আবারও নিজের জাত চেনালেন তিনি। প্রবল চাপের মুখে একা টানতে থাকেন দলকে। আর শেষ দিকে তাঁকে সঙ্গ দেন রাহুল চাহার (অপরাজিত ২৫)। ম্যাচের নায়ক হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও, শেষ পর্যন্ত পারেননি জীতেশ। ৩৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি ফিরতেই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় পঞ্জাবের। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪২ রানে থামে পঞ্জাবের ইনিংস। শার্দূল ঠাকুর একাই নেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট পান অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপ যাদব।

দিল্লির বোলারদের দাপটে একটা সময় বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল অন্যান্য দলগুলি। কারণ পঞ্জাবকে বড় ব্যবধানে হারালে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যতে তারা। তবে জীতেশ নিজের দলকে জেতাতে না পারলেও, অন্য দলের সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে গিয়েছেন ঠিকই। বিশেষ করে কলকাতা নাইট রাইডার্স!