IPL 2022: শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে গুজরাটকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন তেওয়াটিয়া

প্রথমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ঝড়। তারপর অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করা শুভমন গিল। কিন্তু এত কিছুর পরও মাত্র ১৩ রানে অপরাজিত থেকে লাইমলাইটে রাহুল তেওয়াটিয়া (Tewatia)!…

Gujarat won the match by 6 wickets

প্রথমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ঝড়। তারপর অল্পের জন্য শতরান হাতছাড়া করা শুভমন গিল। কিন্তু এত কিছুর পরও মাত্র ১৩ রানে অপরাজিত থেকে লাইমলাইটে রাহুল তেওয়াটিয়া (Tewatia)! আসবেন নাই বা কেন? শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন অবিশ্বাস্য এক জয়। এই পারফরম্যান্সের সামনে তো লিভিংস্টোন-গিলদের ইনিংস সামান্যই মনে হবে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয় গুজরাট।

গুজরাটের প্রথম একাদশে এদিন দুটি পরিবর্তন আসে। অনুশীলনে চোট পেয়ে বিজয় শঙ্কর এবং বরুণ অ্যারণ ছিটকে যান। ফলে দুই তরুণ তুর্কি সাই সুদর্শন এবং দর্শন নালকান্ডের অভিষেক হয় আইপিএলের মঞ্চে। হতাশ করেননি কেউই। বল হাতে দুটি উইকেট নেন ১৯ বছর বয়সী দর্শন। আর ২০ বছরের বাঁ হাতি সুদর্শন (৩০ বলে ৩৫ রান) তিন নম্বরে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। পরিবর্তন হয় পঞ্জাবের প্রথম একাদশেও। প্রথম দুই ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করেও জনি বেয়ারস্টোকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয় শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপাক্ষেকে।

টসে জিতে পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠান হার্দিক। শুরুতেই অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে প্যাভিলিয়নে পাঠান হার্দিক। মরসুমের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ বেয়ারস্টোও। তবে শিখর ধাওয়ান ও লিয়াম লিভিংস্টোন প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। ধাওয়ান (৩৫) ফেরার পর লিভিংস্টোনকে সঙ্গ দেন জিতেশ শর্মা। গত ম্যাচের মতো এদিন লিভিংস্টোন ছিলেন নিজস্ব মেজাজে। মাত্র ২৭ বলে ৬৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। তবে মিডল অর্ডারে দ্রুত কয়েকটি উইকেট খুইয়ে আবার চাপে পড়ে যায় পঞ্জাব। ১৬২ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। কিন্তু শেষ উইকেটের জুটিতে রাহুল চাহার এবং আর্শদীপ সিং ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। ১৪ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। আর্শদীপের অবদান ৫ বলে অপরাজিত ১০। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে পঞ্জাব। গুজরাটের হয়ে রশিদ খান দুর্দান্ত বোলিং করেন। আফগান স্পিনার একাই তিন উইকেট নেন। সামি, ফার্গুসনরাও একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

জবাবে শুরুতে ম্যাথু ওয়েডের উইকেট হারায় টাইটান্সরা। কিন্তু শুভমন গিল এবং অভিষিক্ত সাই সুদর্শনের দাপটে মসৃণ ভাবে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে গুজরাট। গত ম্যাচের মতোই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন প্রাক্তন নাইট গিল। বড় রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে সাজঘরে ফেরেন সুদর্শন। এরপর হার্দিককে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন গিল। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন থাকে ৩২ রান। কাগিসো রাবাডার বলে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫৯ বলে ৯৬ রান করে যান গিল। আইপিএলে এটিই তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। তবে শতরানের দোরগোড়া থেকে ফিরে যাওয়ায় নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন তিনি।

শেষ ওভারে গুজরাটের জয়ের জন্য প্রয়োজন থাকে ১৯ রান। শেষ বলে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল তাদের। শেষ দু’বলে ১২ রান বাকি থাকলেও, রাহুল তেওয়াটিয়ার ছক্কার সৌজন্যে ম্যাচটি থ্রিলারে পরিণত হয়। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দুর্দান্ত জয় এনে দেন তেওয়াটিয়া। ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে যান ওডেন স্মিথ।