IPL 2022:উমরানের আগুন সামলে তেওয়াটিয়া-রশিদের ঝড়ে অবিশ্বাস্য জয় গুজরাটের

আরও একটি ঘটনাবহুল এবং রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের (IPL 2022) সাক্ষী থাকল ক্রিকেটপ্রেমীরা। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালালেন দু’পক্ষ। জানসেনের শেষ ওভারে জয়েরদ জন্য প্রয়োজন ছিল ২২…

IPL Gujarat win

আরও একটি ঘটনাবহুল এবং রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের (IPL 2022) সাক্ষী থাকল ক্রিকেটপ্রেমীরা। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালালেন দু’পক্ষ। জানসেনের শেষ ওভারে জয়েরদ জন্য প্রয়োজন ছিল ২২ রান। শেষ বলে তিন রান। শেষ হাসি গুজরাটের। শেষ দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকয়ে গুজরাটকে আরও একটি অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিলেন রশিদ। অবশ্য উলটো দিকে থাকা রাহুল তেওয়াটিয়ার কৃতিত্বও বিন্দুমাত্র কম ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারাল গুজরাট টাইটান্স।

প্রথমে ব্যাট করে গুজরাটকে ১৯৬ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে শুরুটা ভালো ছিল না তাদের। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং ফর্মে চূড়ায় থাকা রাহুল ত্রিপাঠী ব্যাট হাতে এদিন দাগ কাটতে ব্যর্থ। কিন্তু অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা এই ম্যাচেও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। বাঁহাতি তরুণকে সঙ্গ দেন এডেন মারক্রাম। সানদের বড় রানের ভিত গড়ে দিয়ে যান এই দু’জনেই।

IPL Gujarat win

৪২ বলে ৬৫ রান করে আউট হন অভিষেক। ৪০ বলর মোকাবিলা করে প্রোটিয়া তারকা মারক্রামের অবদান ৫৬ রান। এরপর নিকোলাস পুরান ও ওয়াশিংটন সুন্দর ব্যর্থ হলেও, শেষ ওভারে ঝড় তোলেন অখ্যাত শশাঙ্ক সিং। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম জোরে বোলার লকি ফার্গুসনের শেষ তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। মাত্র ৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শশাঙ্ক।

হায়দরাবাদের ৬টি উইকেটের মধ্যে মহম্মদ সামিই নেন তিনটি। এদিন ফার্গুসনের মতোই বল হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ রশিদ খান। এই দুই তারকা আট ওভারে খরচ করেছেন ৯৭ রান। কোনও উইকেট পাননি। এর মধ্যে ফার্গুসন দিয়েছেন ৫২ এবং রশিদ ৪৫।

জবাবে শুভমন গিলের সঙ্গে দারুণ শুরু করেন ঋদ্ধিমান সাহা। এদিন তিনি ছিলেন নিজস্ব মেজাজে। সানদের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে গিল (২২) এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া (১০) দ্রুত সাজঘরে ফিরলেও, ঋদ্ধি জয়ের স্বপ্ন দেখান দলকে। মাত্র ৩৮ বলে ৬৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন বাংলার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে উমরানের আগুনে পেসের সামনে সকলকেই ধরাশায়ী হতে হয়। ঋদ্ধি, গিল, ফর্মে থাকা ডেভিড মিলার এবং অভিনব মনোহরকে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে ফেরান উমরান মালিক। সেইসঙ্গে হার্দিককেও আউট করেন তিনি। অর্থাৎ গুজরাটের প্রথম পাঁচ ব্যাটারই তাঁর শিকার হয়ে ফেরেন।

চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২৫ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট নেন তিনি। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে বিপক্ষের প্রথম পাঁচ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি। এত কিছুর পরেও রাহুল তেওয়াটিয়া এবং রশিদ খানের দাপটে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনায় পরিণত হয় ম্যাচ। স্নায়ু যুদ্ধে জানসেনকে টেক্কা দেন রশিদ খান। ২১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন তেওয়াটিয়া। মাত্র ১১ বলে ৩১ রান করে ব্যাট হাতে নায়ক বনে যান রশিদ।