ফাইনালে ওঠার লড়াইটা রুদ্ধশ্বাস হওয়ার প্রত্যাশায় বুক বেধেছিলেন অনেকেই। কিন্তু আরসিবির অসহায় আত্মসমর্পণ দেখে তারা বেশ হতাশ। কার্যত একপেশে ম্যাচে ১১ বল বাকি থাকতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে (Royal Challengers Bangalore) ৭ উইকেটে হারাল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন বিরাট কোহলি। অনুশীলনে যে ভাবে ক্যাচ প্র্যাকটিস করায়, ঠিক যেন সেই ভাবে আউট হলেন বিরাট। তাঁর এই আউট দেখে হয়তো শিক্ষানবীশরাও লজ্জায় মুখ ঢাকবেন। গত ম্যাচের শতরানকারী রজত পাতিদারকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টানতে থাকেন ফাফ ডু প্লেসি (২৫)। কিন্তু আরসিবি অধিনায়কও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
এদিন আবারও রজত ঢাল হয়ে না দাঁড়ালে আরসিবির অবস্থা হয়তো আরও করুণ হত। ম্যাক্সওয়েল ১৩ বলে ২৪ রানের একটা ছোট্ট ঝড় তুলে ফিরে যান। বাকিদের রান বলার মতো নয়। পাতিদারের করা ৪২ বলে ৫৮ রান দলের সর্বোচ্চ। রাজস্থানের হয়ে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা এবং ওবেদ ম্যাকয় তিনটি করে উইকেট নেন।
জবাবে মোতেরার বাইশগজে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন জস বাটলার। জসওয়াল (২১) এবং অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (২৩) তাঁকে সঙ্গ দেন। শেষ লগ্নে দেবদত্ত পালিক্কালও (৯) ফিরে যান। বাকি কাজটা হেটমেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলেন ইংরেজ তারকা। বাটলারের এই বিধ্বংসী ফর্ম কিন্তু ফাইনালের টিকিট পেয়ে বসে থাকা হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট টাইটান্সকেও ভাবাতে বাধ্য। এই নিয়ে চলতি প্রতিযোগিতায় চার নম্বর সেঞ্চুরি তুলে ফেলেন তিনি। ৬০ বলে ১০৬ রান অপরাজিত থেকে দলকে ফাইনালে তুললেন বাটলার।