IPL 2022: দুরন্ত ব্যাটিং রাহুল-হুডার, দুরন্ত বোলিং আভেশদের, হারের সরণিতেই সানরা

দারুণ লড়েও শেষ রক্ষা হল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad)। প্রথম দু’টি ম্যাচেই হারের মুখ দেখল উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং। সানদের ১২ রানে হারিয়ে জয়ের ধারা…

Lucknow Super Giants win by 12 runs

দারুণ লড়েও শেষ রক্ষা হল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad)। প্রথম দু’টি ম্যাচেই হারের মুখ দেখল উইলিয়ামসন অ্যান্ড কোং। সানদের ১২ রানে হারিয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখল লখনউ সুপার জায়ান্টস। হেরে এবারের আইপিএল যাত্রা শুরু করলেও, পরের দুটি ম্যাচ জিতে পায়ের তলায় জমি অনেকটা শক্ত করে নিল লোকেশ রাহুল ব্রিগেড। প্রথম একাদশে এদিন একটি পরিবর্তন আনে লখনউ। লঙ্কান পেসার দুশমন্থ চামিরার বদলে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডারকে খেলান তারা। যদিও পুরনো দলের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি। ব্যাট হাতে সেভাবে সুযোগ পাননি।

এদিন টসে জিতে লখনউকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়কের তুখর মস্তিষ্কের সামনে শুরুতে মাথানত করতে হয় লখনউকে। পাওয়ার প্লেতে তিনি বল হাতে তুলে দেন ওয়াশিংটন সুন্দরের। ভারতের এই অফ-স্পিন অলরাউন্ডার পাওয়ার প্লে-তে বেশ সফল। এদিন নিজের সেই সুনাম বজায় রাখেন সুন্দর। দুই বাঁহাতি কুইন্টন ডি কক এবং এভিন লুইসকে একের বেশি রান করতে দেননি তিনি। ফর্মে থাকা দুই ব্যাটারকে সুন্দর ফেরানোর পর মণীশ পান্ডে আবার নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ। ২৭ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে খুইয়ে খাদের কিনারায় চলে যায় লখনউ। কিন্তু অভিজ্ঞতার জেরে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক রাহুল ও দীপক হুডা। শুরুতে কিছুটা থিতু হয়ে হাত খোলেন দু’জনে। ৩৩ বলে ৫১ রান করেন হুডা। রাহুলের অবদান ৫০ বলে ৬৮। দুই তারকা ৮৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়ে যান। তরুণ আয়ুস বাদোনি ১২ বলে ১৯ করে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে রান আউট হন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৬৯ রান তোলে লখনউ।

জবাবে সানদের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলের অন্যতম সেরা ভরসা কেন উইলিয়ামসন এবং অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা- দুই ওপেনারকেই দ্রুত সাজঘরের পথ দেখান আভেশ খান। তবে প্রাক্তন নাইট রাহুল ত্রিপাঠী এদিন দুরন্ত ব্যাটিং করে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। মাত্র ৩০ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ত্রিপাঠী। গত ম্যাচে ভালো খেললেও, এদিন ব্যর্থ এডেন মার্করাম। প্রোটিয়া তারকা এবং ত্রিপাঠীর উইকেট তুলে নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

এরপর ম্যাচকে রোমাঞ্চকর পরিস্থিতিতে নিয়ে আসেন নিকোলাস পুরান এবং সুন্দর। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পুরানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান আভেশ। তবে ২৪ বলে ৩৪ রান করে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে যান এই ক্যারিবিয়ান তারকা। পরের বলেই আবদুল সামাদকে আউট করে লখনউকে আবার ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন আভেশ। শেষ ওভারে সানদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রথম বলেই সুন্দরে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট খুইয়ে ১৫৭ রানে থমকে যায় সানদের ইনিংস। আভেশ নেন চারটি উইকেট। হোল্ডার তিনটি উইকেট পান। বাকি দুটি গিয়েছে ক্রুনাল পান্ডিয়ার দখলে।