আজ থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বেটন কাপ হকি (Hockery) টুর্নামেন্ট। আর এবারের বেটন কাপের (Beighton Cup) আসর বসছে একেবারে নতুন, আন্তর্জাতিক মানের যুবভারতী হকি স্টেডিয়ামে। ২২ হাজার দর্শক ধারণক্ষম এই আধুনিক স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো দেখে মুগ্ধ ক্রীড়ামহল থেকে সাধারণ দর্শক সকলেই।
আইএসএলের অনিশ্চয়তার মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বনধ’ বাগানের অনুশীলন
কলকাতার বুকেই এবার দেখা যাবে এমন এক হকি স্টেডিয়াম, যা আন্তর্জাতিক মানের যে কোনও মাঠের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। শুধু মাঠ নয়, তার চারপাশ ঘিরে রয়েছে সবুজ ঢালু গ্যালারি, যাকে বলা হয় ‘আর্দেন গ্যালারি’। অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠে দর্শকরা যেভাবে ঘাসের ঢালে বসে বা আধশোয়া হয়ে খেলা দেখেন, সেই চিত্রই এবার দেখা যাবে কলকাতায়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভালের মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন যুবভারতী হকি স্টেডিয়ামের। পরদিন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নিজে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের স্টেডিয়াম ঘুরিয়ে দেখান। তিনি বলেন, “এখন আমরা কলকাতাতে যে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করার মতো অবস্থানে রয়েছি। তবে রাজনৈতিক কারণে কেউ ম্যাচ না দিলে আমাদের করার কিছু থাকবে না।”
২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ঝকঝকে হকি স্টেডিয়ামে রয়েছে দুটি বাতানুকূল প্লেয়ার্স চেঞ্জিং রুম, ব্রডকাস্টিং রুম, সেরেমোনিয়াল রুম, আম্পায়ার ও ম্যানেজার রুম, ভিডিও আম্পায়ার রুম, ডোপ টেস্টিং রুম, ভিভিআইপি লাউঞ্জ, মিডিয়া জোন, দুটি ভিআইপি বক্স, প্রেসিডেন্সিয়াল বক্স এবং আধুনিক প্রেস কনফারেন্স রুম। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস এবং নৈশালোকে ম্যাচ আয়োজনের পূর্ণ ব্যবস্থা।
অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, আপাতত এই স্টেডিয়াম শুধুমাত্র ম্যাচ আয়োজনের জন্য ব্যবহৃত হবে। তবে ভবিষ্যতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এখানে একটি হকি অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে অনুশীলনের সুযোগও থাকবে।
এবারের বেটন কাপের জন্য ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান বা মহামেডান ক্লাবের মাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে না। পুরো টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে ডুমুরজোলা ও যুবভারতী হকি স্টেডিয়ামে। শনিবার দুপুরে যুবভারতী হকি স্টেডিয়ামেই হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, যেখানে উপস্থিত থাকবেন হকি তারকারা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অলিম্পিয়ান টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ১৬ নভেম্বর।
