ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের ছক ভাঙতে এই বাঙালিই ‘ভরসা’ কুয়াদ্রাতের

গতবছর আইএসএল মরশুমে লড়াই করলেও জয় মেলেনি। সম্প্রতি ডুরান্ড কাপেও জুটেছে চরম ব্যর্থতা। বিগত আইএসএলে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করলেও সদ্য সমাপ্ত ডুরান্ড কাপে সেই ভাগ্যও…

Indian Winger Nandakumar Key to East Bengal's Victory in Today's Clash Against FC Goa

গতবছর আইএসএল মরশুমে লড়াই করলেও জয় মেলেনি। সম্প্রতি ডুরান্ড কাপেও জুটেছে চরম ব্যর্থতা। বিগত আইএসএলে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করলেও সদ্য সমাপ্ত ডুরান্ড কাপে সেই ভাগ্যও খোলেনি লাল-হলুদ শিবিরের। এছাড়াও গত রবিবার কোচিতে এ মরশুমের প্রথম ম্যাচ খেলে শুরুটা মোটেই ভালো করতে পারেনি কার্লোস কুয়াদ্রাতের দল। কেরালা ব্লাস্টার্স এর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমে ২-১ গোলে পরাজিত হতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। তাই কোচিতে হারলেও আজ ঘরের মাঠে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের ওপরে ওঠার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী লাল- হলুদ শিবির। তবে আজ গোয়া(East Bengal vs FC GOA) ম্যাচ জিততে কোনো বিদেশি নয়, স্বদেশী নন্দকুমারেই আস্থা রাখছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।

গতকালই চেন্নাইকে ঘরের মাঠে হারিয়ে নিজেদের প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মহামেডান শিবির। প্রথমবার লীগ খেলতে নেমে দলে তারকাদের চোট থাকা সত্ত্বেও এই ‘অপ্রত্যাশিত’ জয়ে স্বভাবতই খুশি হয়েছে কলকাতাবাসী। তবে সাদা -কালো শিবিরে জয় এলেও লাল- হলুদ শিবিরে এখনও মশাল জ্বলেনি। এবছর আইএসএল এর শুরুতে খেলতে নেমে দুটি ম্যাচেই পরাজিত হতে হয়েছে কুয়াদ্রাত বাহিনীকে। বিগত আইএসএলে সবথেকে বেশি গোল করা গ্রিক স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়াস ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও দলের আক্রমনভাগে আরেক বিদেশী ফরোয়ার্ড সেল্টন সিলভাও ব্যর্থ। এমনকি কেরালার বিরুদ্ধে ভালো রেকর্ড থাকা ক্রেসপোও শুরু থেকে শেষ অবধি নিষ্প্রভ ছিলেন। তাই বিদেশী ফুটবলারদের শুরু থেকে খেলানো নিয়ে বেশ বিতর্কে রয়েছেন কুয়াদ্রাত। তবে বিদেশীরা ফেল করলেও বিগত কেরালা ম্যাচে উইং এবং মাঝমাঠে আশা জাগিয়েছেন স্বদেশী নন্দকুমার।

   

আজ যুবভারতীতে মাঠে নামার আগে লাল-হলুদ ব্রিগেডের সুপার কাপ জেতানো নায়ক নন্দকুমারকে ঘিরেই আত্মবিশ্বাস দেখাছেন কুয়াদ্রাত। বিগত রবিবার কেরালা ম্যাচে বল পজেশনের বিচারে লাল-হলুদ বাহিনীকে সিংহভাগ এগিয়ে রাখার কৃতিত্ব ‘কলকাতাজাত’ চেন্নাইয়ের ফুটবলারেরই। তবে আত্মবিশ্বাসী হলেও মাঠে নামার আগে সতর্ক কুয়াদ্রাত। গতকাল একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “গোয়া অন্যতম শক্তিশালী দলের মধ্যে একটি। মহামেডানের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও ড্র করেছিল ওঁরা। তবে আমরা আমাদের একশো শতাংশ দিয়ে ম্যাচ জেতার চেষ্টা করব।”

East Bengal FC: ইস্টবেঙ্গলে ফের গুরুতর চোট সমস্যা!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে আনোয়ার আলিকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কে ছিল লাল-হলুদ ক্লাব কমিটি। পাঞ্জাব ও প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের হয়ে খেলা এই ডিফেন্ডারকে দলে নিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছিল ইস্টবেঙ্গল। আপাতত সে বিতর্ক মিটলেও দলের প্রতি খেলোয়াড়কে ঠিক ভাবে খেলাতে না পারার অভিযোগ উঠেছে কোচ কুয়াদ্রাতের বিরুদ্ধে। এমনকি গত মরশুমের সেরা স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়াসকেও ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেননি লাল-হলুদ কোচ। দলের মাঝমাঠেও আক্রমণের সময় অনেক গলদ দেখা যাচ্ছে। চেন্নাই ম্যাচে সঠিকসময়ে বল পাস্ করতে বারংবার ব্যর্থ হচ্ছিলেন দলের মিডফিল্ডাররা। তবে বিগত ভুল শুধরে নিয়ে বারবার ম্যাচে ফিরে আসার প্রাচীন রেকর্ড রয়েছে বাঙাল-ব্রিগেড দের। আজ (East Bengal vs FC GOA) নন্দ-সেল্টন-দিমিরা কতটা সেই রেকর্ড ধরে রাখতে পারেন তা জানা শুধু সময়ের অপেক্ষা!