৭ জুন থেকে ইংল্যান্ডের দ্য ওভালে শুরু হতে চলেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অর্থাৎ, হাতে এক মাসও সময় বাকি নেই। এর মাঝে আইপিএল চলায় বিরাটদের প্রস্তুতির অভাব হলো কিনা, সেই নিয়ে চিন্তিত ভারতীয় টিম (Team Indian) ম্যানেজমেন্ট। দলের সহকারী কর্মকর্তারা ব্যাক্তিগত ভাবে খোঁজ নিয়েছেন ছেলেরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য শারিরীক ভাবে প্রস্তুত আছেন কিনা, আইপিএলের মাঝে লাল বলে অনুশীলনে আদৌ হয়েছে কিনা।
তবে উত্তর যা এসেছে, তাতে মোটেই খুশি হবেন না দলের ম্যানেজমেন্ট। খেলোয়াড়রা তাদের অসহায়তা প্রকাশ করেছেন। স্পষ্ট জানিয়েছেন যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টের প্রস্তুতির জন্য যে আলাদা প্রস্তুতি দরকার, তা করার জন্য পর্যাপ্ত সময় তাঁরা পাচ্ছেন না।
৩০ মার্চ, অর্থাৎ আইপিএল শুরু হওয়ার আগে, দলের ম্যানেজমেন্ট কর্তারা খেলোয়াড়দের শুরুতেই খুব ভারী ওজন তুলতে নিষেধ করেছিলেন। বলেছিলেন, বোলারা যেন ধীরে ধীরে সেই ওজন বাড়ায়, নেটে বেশি সময় দেন। আইপিএল ইতির দোরগোড়ায় এসে তাঁরা জানতে চাইলেন মে মাসে বোলাররা তাদের সেই ওজন বাড়িয়ে উঠতে পেরেছেন কিনা।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে একদিনে অন্তত নব্বই ওভার, অর্থাৎ ছ’ঘন্টা তাঁদের দাঁড়াতেই হবে মাঠে। দলের ম্যানেজমেন্ট চাইছে, বিরাট- রোহিতরা যেন এই “ধকল”-এর সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
কিন্তু ভারতীয় বোলারদের থেকে আশানুরূপ উত্তর পাননি দলের ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তারা। বোলাররা জানিয়েছেন, আইপিএল-এর দরুন যা যাতায়াত করতে হয়েছে, তাতে টেস্টের অনুশীলন শিকেয় উঠেছে। প্রত্যেক তিনদিনে একদিন বিমান ধরতে হচ্ছে তাদের। এর পর ভারী ওজন তুললে চোট আসার সম্ভাবনা থাকবে।
এমনিতে ভারতীয় দলে চোটের তালিকা কম না। দলের অন্যতম ফাস্ট বোলার যশপ্রিত বুমরা সেই কবেই চোট পেয়েছেন। গাব্বায় ম্যাচ যেতানো রিশভ পান্থ গাড়ি দুর্ঘটনায় পরে অন্তত এক বছর বাইরে থাকবেন। শ্রেয়শ আইয়ারের চোট- বিশ্বকাপের আগে ফিরছেন না। আইপিএলের মাঝে লোকেশ রাহুলও বেড়িয়ে গেলেন। ওদিকে উমেশ যাদব ও জয়দেব উনদকাটও চোটে ভুগছিলেন। তবে এই দু’জনের ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। বলা হচ্ছে- এনারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে গেলেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে ইংল্যান্ডে।
আইপিএলের আগে, ভারতীয় পুরুষ দলের অধিনায়ক অবশ্য জানিয়ে দেন যে ফাস্ট বোলারদের লাল বল যথা সময়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আশা করছেন যে তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো লাল বলে অনুশীলন করে নেবেন।
যদিও আইপিএলের আগেই শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজের পর রোহিত জনিয়েছিলেন যে টেস্টের আগে বোলারদের সুস্থ রাখা একান্তই তাঁদের নিজেদের দায়িত্ব। এর জন্য আইপিএলে তাঁরা কেমন খেলবেন, এটা তাঁদের বিবেচ্য বিষয়।
রোহিত তখন আরও বলেছিলেন, “এটি আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেই সমস্ত খেলোয়াড়দের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখব যারা (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ) ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে এবং তাদের কাজের চাপ নিরীক্ষণ করব এবং তাদের সাথে কী ঘটছে তা দেখব।”