গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (Indian Super League) শিল্ডকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। হিসাব অনুযায়ী এখন ও পর্যন্ত এই লড়াইয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এগিয়ে থাকলেও খুব একটা পিছনে নেই মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়া। শনিবার হোম ম্যাচে ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। সম্পূর্ণ সময় শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে গোয়া শিবির। দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে ইকের গ্যারেক্সোনা এবং আকাশ সাঙ্গওয়ান। এই জয়ের সুবাদে ১৭ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আসল এফসি গোয়া।
বলাবাহুল্য, জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু করলে ও পরবর্তীতে টানা দুইটি ম্যাচে আটকে যেতে হয়েছিল আর্মান্দো সাদিকুদের। তবে গত ম্যাচেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে পরাজিত করেছিল গোয়ার এই ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ছিল সকলের। তাই এবার হোম ম্যাচ থাকায় যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল গোয়া দলের ফুটবলারদের। বলতে গেলে প্রথম থেকেই যথেষ্ট সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করেছিলেন বোরহা হেরেরা থেকে শুরু করে আয়ূষ ছেত্রীরা। একেবারে প্রথম কোয়ার্টারেই উইং থেকে আক্রমণে উঠে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বোরহা।
কিন্তু সেটা সফল হয়নি। তারপর প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে গোলের চেষ্টায় উঠে আসেন ব্রিসন ফার্নান্দেজ। কিন্তু তিনি ফিনিশ করতে না পারলেও সঠিক সময় বল বলে ঠেলে দেন ইকের গ্যারেক্সোনা। যারফলে প্রথম কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগেই ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। তারপর দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার আগেই কার্ল ম্যাকহিউর ক্রস থেকে বল রিসিভ করে গোল করে যান আকাশ সাঙ্গওয়ান।
প্রথমার্ধের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় গোয়া ব্রিগেড। তারপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি চেন্নাইয়িন এফসি। এই জয়ের ফলে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গেল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অন্যদিকে, চেন্নাইয়িন এফসি পরাজিত হওয়ার ফলে কিছুটা হলেও হয়তো সুবিধা পেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমানে ইস্টবেঙ্গলের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে এক পয়েন্টের পার্থক্যে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণের এই ফুটবল ক্লাব। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসিকে পরাজিত করতে পারলেই কিছুটা উপরে উঠে আসবে ময়দানের এই প্রধান। যদিও এক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় মুম্বাই সিটির জয়ের সম্ভাবনা প্রবল থেকে প্রবলতর।