‘কোনও গোল খাইনি বলে খুশি। দিনের শেষে কোনও গোল না খেয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াটা সত্যিই আনন্দের। খুবই জরুরি ছিল এটা।’ চোখে-মুখে একটা আলাদা তৃপ্তি ছাড়াও আত্মবিশ্বাসের সুর ধরা দিচ্ছিল ম্যাচের নায়ক সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) গলায়। জোড়া গোল করে দেশকে আরও একটি জয় এনে দিয়েছেন। তবে জয়ের সঙ্গে তাঁকে বেশি আনন্দ দিয়েছে গোল না হজম করা। এটাও পরিষ্কার বলে দিলেন সুনীল।
তিনি বলেন, ‘অনেক কিছুতেই আরও ভাল করতে পারতাম। যদিও বেশি নির্দয় হতে চাই না। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার মাত্রা খুবই বেশি ছিল। অবশ্য দুই দলকেই তা সহ্য করতে হয়েছে। তাই দীর্ঘক্ষণ ম্যাচের ছন্দ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। দিনের শেষে কোনও গোল না খেয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়াটা সত্যিই আনন্দের। খুবই জরুরি ছিল এটা। এই ম্যাচের ভিডিও দেখে কোচ নিশ্চয়ই অনেক কথা বলবেন। সব মিলিয়ে এ ভাবে শুরু করতে পারাটা ভালই।’
সুনীল ছেত্রী মনে করেন, এখনও কিছু কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে তাঁদের। নিজেদের পারফরম্যান্সের ভিডিও দেখে সেগুলো ঠিক করবেন। তা ছাড়া পরবর্তী প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের প্রথম ম্যাচের ভিডিও-ও দেখতে চান ভারতের সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের মালিক। তারপরেই ঠিক করবেন পরবর্তী ম্যাচে তাদের পরিকল্পনা ঠিক কী রকম হতে পারে। মানসিক চাপ যে বেশ কিছুটা কমবে, তা জানিয়ে রাখলেন বাংলার জামাই। বললেন, ‘চাপ কিছুটা তো কমবেই। যখন একেকটা ম্যাচ একেকটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে হয়, তখন ভুলের অবকাশ বেশি থাকে না। যথেষ্ট পরিশ্রম করে, কোনও গোল না খেয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার সুফল তো পরবর্তীকালে পাওয়া যাবেই।’
পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। সেই প্রসঙ্গ উঠতেও ঘুরেফিরে ক্লিন শিটের কথায় চলে গেলেন সুনীল। জানালেন, ‘সবচেয়ে ভাল জিনিস হল ক্লিন শিট। দলের অনেকেই বুঝতে পারল পুরো ৯০ মিনিট খেলাটা আসলে কী। আইএসএলের পরে অনেকেই খেলেনি। অনেকেই ফিটনেসের দিক থেকে একটু আলাদা জায়গায় ছিল। অনেকে যেমন পুরো ম্যাচ খেলল, অনেকে শুরু করল। কোচ দেখে নিলেন, কে কী অবস্থায় রয়েছে। উনি আমাদের আগেই বলে দিয়েছিলেন যে, ৬-৭ দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হলে দলের প্রত্যেককেই দরকার। এগুলোই ইতিবাচক দিক। আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচের ভিডিও এখনও দেখিনি। সে সেব দেখে নিয়ে তার পরে একটা পরিকল্পনা তৈরি করা যাবে।’