১৯৯৬ সালের পর আবার ২০২৫। আইসিসি টুর্নামেন্ট (Champions Trophy) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। তবে তারা পুরোপুরি আয়োজন করতে পারছে না। কারণ ভারতের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে দুবাইতে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও পাকিস্তান থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও অনুষ্ঠিত হতে পারে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আগেই জানিয়েছে যে তারা পাকিস্তানে দল পাঠাবে না। এরপর ভারতের জার্সিতে থাকবে না পাকিস্তানের নাম।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যেখানে সব অধিনায়কদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেও উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে রোহিত সেখানে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। বর্তমানে একাধিক রিপোর্ট উঠে এসেছে। এবছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় জার্সিতে পাকিস্তানের নাম থাকবে না। ভারতীয় দল তাদের জার্সিতে পাকিস্তানের নাম লেখাতে অস্বীকার করেছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলের আলাদা জার্সি থাকে যার বুকের ডান দিকে থাকে টুর্নামেন্টের লোগো এবং আয়োজক দেশের নাম।
২০২৩ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক দেশের নাম প্রতিটি দলের জার্সিতে ছিল। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সিতে পাকিস্তানের নাম থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ভারত তা রাখবে না।
এটার কারণ হিসেবে যদিও বিসিসিআই অফিসিয়ালি কিছু জানায়নি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ভারত এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানে গিয়ে কোনো ম্যাচ খেলবে না। সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যেহেতু পাকিস্তানের আয়োজিত ভেন্যুতে ভারতের কোনো ম্যাচ হবে না ফলে পাকিস্তানের নাম লেখা হবে না ভারতের জার্সিতে। পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আয়োজক নয় তাই তাদের নামও থাকবে না জার্সিতে। ফলে ভারতের জার্সিতে শুধুমাত্র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লোগো থাকবে।
এই সিদ্ধান্তে অবশ্য অসন্তুষ্ট পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এক পাক কর্তা সংবাদমাধ্যমে বলেন, “বিসিসিআই ক্রিকেটে রাজনীতি ঢুকিয়ে দিচ্ছে যা ক্রিকেটকে অপমান করছে। প্রথমে পাকিস্তানে খেলার অস্বীকৃতি তারপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধিনায়ককে পাঠাচ্ছে না। এখন আয়োজক দেশের নাম জার্সিতে ছাপাতে অস্বীকার করছে। আমি আইসিসির হস্তক্ষেপের দাবি করছি।”