Akash Deep : ৬ মাসের মধ্যে হারিয়েছিলেন বাবা ও দাদাকে, তারপরেও ক্রিকেট ছাড়েননি আকাশ

রাঁচিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলছে টিম ইন্ডিয়া (India vs England)। এই ম্যাচে জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বুমরাহর পরিবর্তে ইংল্যান্ডের…

Akash Deep : ৬ মাসের মধ্যে হারিয়েছিলেন বাবা ও দাদাকে, তারপরেও ক্রিকেট ছাড়েননি আকাশ

রাঁচিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ খেলছে টিম ইন্ডিয়া (India vs England)। এই ম্যাচে জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বুমরাহর পরিবর্তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাঁচি টেস্টে (Ranchi Test) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের সুযোগ পেয়েছেন আকাশ দীপ (Akash Deep)। বাংলার হয়ে রঞ্জি ম্যাচ খেলা এই বোলারের হাতে অভিষেক ক্যাপ তুলে দেন রাহুল দ্রাবিড়। ২৭ বছর বয়সী এই বোলারের জন্য বিহারের রাস্তা থেকে টিম ইন্ডিয়ার যাত্রাটা মোটেও সহজ ছিল না।  

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের জন্য আকাশ দীপকে যখন টিম ইন্ডিয়ায় ডাকা হয়েছিল, তখন তিনি খুব খুশি হয়েছিলেন। পাশাপাশি বাংলা ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুমে উপস্থিত সকলেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে ৬ মাসের মধ্যে বাবা ও ভাইকে হারানোর পরও তিনি মনকে শক্ত রেখেছিলেন এবং খেলা চালিয়ে গিয়েছিলেন। 

বিষয়টি এখানেই শেষ নয়, খেলার পাশাপাশি কীভাবে সংসার চালিয়েছেন এবং নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফল হয়েছেন তাও জানিয়েছেন তিনি। আকাশ দীপ জানিয়েছেন, বিহারে ক্রিকেটের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। বিশেষ করে সাসারামে ক্রিকেট খেলা ছিল এক ধরনের অপরাধ। সেই সময় বিহারে ক্রিকেটের কোনও ভবিষ্যৎ ছিল না। খেলোয়াড়ের বাবা নিজেও আকাশকে সরকারি চাকরির চেষ্টা করতে বলেছিলেন। কিন্তু ক্রিকেটের কথা মাথায় ছিল সব সময়। 

Advertisements

আকাশ দীপের জীবনে একটি কঠিন সময় এসেছিল যখন তাঁর বাবা এবং ভাই ৬ মাসের মধ্যে মারা যান। এই ঘটনার পর সংসার চালানোর পুরো দায়িত্ব এসেছিল তাঁর কাঁধে। এরপরেও ২২ গজে দৌড় থামেননি তিনি। 

আকাশ বলেছেন, “আমার জীবনে একটি কঠিন সময় এসেছিল যখন আমি ছয় মাসের মধ্যে আমার বাবা এবং ভাই উভয়কেই হারিয়েছিলাম। সংসারের সমস্ত চাপ আমার কাঁধে এসেছিল। তখন লেদার বলের ক্রিকেটে পয়সা ছিল না। আমাদের জেলায় মাসে ৩-৪ বার টেনিস বলের ক্রিকেট খেলা হত এবং আমার পক্ষে সমস্ত খরচ বহন করা খুব কঠিন ছিল। আমাকে শেখানোর জন্য আমার কোনো কোচও ছিল না। অরুণ লাল স্যার এবং রানা (রণদেব বসু) স্যার আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন এবং আমি তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”