দাপুটে ফুটবলের মধ্যে দিয়ে এবারের এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্ব খেলতে এসেছিল ভারত (India U23)। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরিন দলকে পরাজিত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অন্যতম শক্তিশালী দেশ তথা আয়োজক কাতারের সঙ্গে খেলতে হয়েছিল নৌসাদ মুসার ছেলেদের। এক কথায় বিরাট চ্যালেঞ্জিং ছিল সেটি। ভারতের থেকে ধারে ভারে অনেকটা এগিয়ে থাকলেও খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি অনূর্ধ্ব তেইশ দল। বরং ভারতীয় তরুণ ব্রিগেডের দাপটে একটা সময় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল কাতার। যারফলে এগিয়ে থেকেও কার জন্য পয়েন্ট নষ্ট করার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু রেফারির একটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু।
Also Read | মনিপুরের এই উইঙ্গারকে এবার দলে টানল গোকুলাম
যারফলে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছিল কাতার। তবে সেই ধাক্কা ভুলে অনায়াসে তৃতীয় ম্যাচে ব্রুনেই দলকে হাফ ডজন গোল দিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলাররা। কিন্তু তবুও পরবর্তী পর্বে সুযোগ পাওয়া নিয়ে ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। আসলে এক্ষেত্রে অন্যতম বাঁধা হিসেবে ছিল কাতার দল। তাই ভারতের বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি বাহরিন বনাম কাতার ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করতে হতো আয়োজনকারীদের। বিশেষ করে ভারত এগিয়ে থাকার পর একটা সময় অনেকেই মনে করেছিল যে পরের রাউন্ডে হয়তো সহজেই স্থান করে নেবে ব্লু-টাইগার্স। একটা সময় দেখাও দিয়েছিল সেই পরিস্থিতি।
Also Read | হংকংকে ৯৪ রানে হারিয়ে আফগানিস্তানের শুরু এশিয়া কাপ অভিযান
আসলে কাতারের বিপক্ষে একটা সময় এগিয়ে ছিল বাহারিনের জাতীয় দল। তবে কথায় আছে একটি গোলের ব্যবধান কখনোই নিরাপদ নয়। সেটাই বোঝা গিয়েছে এবার। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়ের মধ্যেই দুইটি গোল করে দেয় কাতারের ফুটবলাররা। অতিরিক্ত সময় গোল করেন আর হুসেইন এবং আল সারশানি। তাঁদের দৌলতেই পরের রাউন্ডে চলে যায় কাতার। অন্যদিকে গোটা গ্রুপ পর্ব দাপিয়ে খেলেও শেষ পর্যন্ত ছিটকে যেতে হল ভারতীয় ফুটবল দলকে। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীরা।