একই দিনে ছিল ভারতের দুটি ফুটবল ম্যাচ। একটি অনূর্ধ্ব ১৬ দলের (SAFF U16 Championship) ম্যাচ অন্যটি ভারতের সিনিয়র দলের কিংস কাপের ম্যাচ। ছোটরা হয়েছে টুর্নামেন্ট সেরা, বড়রা বিশ্রী ফুটবল খেলে বিদায় নিল কিংস কাপ থেকে। একই দেশ, ফলাফল ভিন্ন।
ফুটবল প্রেমীদের একাংশের মতে, সম্প্রতি সময়ের সবথেকে খারাপ ফুটবল ম্যাচ উপহার দিয়েছে ভারতীয় সিনিয়র ফুটবল দল। রবিবার লেবাননের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে হেরে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। গোল করার মতো একাধিক সুযোগ এসেছিল দলের সামনে। কোনোটাই গোলে রূপান্তর করতে পারেননি ব্র্যান্ডনরা। ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ৭৭ মিনিটে কাসিমের করা একমাত্র গোল ব্যবধান গড়ে দিয়েছে দুই দলের মধ্যে।
অন্য দিকে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৬ দল শুরু থেকে চাপ বজায় রেখেছিল প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে ফলাফল ২-০। তবে সেটা ভারতের পক্ষে। নেপালের মাটিতে ভারতের পতাকা উত্তোলন করে এসেছে তারা। ম্যাচ শুরু হওয়ার ৮ মিনিটের মধ্যে গোল তুলে নিয়েছিল আন্ডার সিক্সটিন টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় গোল ৭৩ মিনিটে।
🅲🅷🅰🅼🅿🅸🅾🅽🆂 💙🇮🇳💙 #INDBAN ⚔️ #U16SAFF2023 🏆 #BlueColts 🐯 #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/Ua7gkfdsZN
— Indian Football Team (@IndianFootball) September 10, 2023
এছাড়াও এখন প্রতিযোগিতার মধ্যে রয়েছে ভারতের অনূর্ধ্ব ২৩ দল। অনূর্ধ্ব ১৬ দলের তুলনায় অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কেউ কেউ ইতিমধ্যে তারকার তকমা পেতে শুরু করেছেন। কিন্তু দেশের হয়ে তাদের ফুটবল প্রতিভা দেখে বোঝার উপায় নেই। চীনের বিরুদ্ধে দানা বাঁধেনি দলের খেলা। লম্বা বল বাড়িয়ে কোনো রকমে খেলার চেষ্টা করেছিল দল। ভারতের আগামী প্রজন্মের পারফরম্যান্স দেখে অনেকে ক্লিফোর্ড মিরান্ডার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
যে কাজটা অনূর্ধ্ব ১৬ দল করে দেখাল সে কাজটা দেশের বাকি দুই দল কেন পারল না, কোথায় রয়েছে পার্থক্য? একটা বিষয় স্পষ্ট- প্রস্তুতি। ক্লিফোর্ড মিরান্ডা মাঠে দল নামার আগে হয় যথেষ্ট সময় পাননি। ইগোর স্টিম্যাচের ক্ষেত্রেও হয়তো এটা বলা চলে। অনেক অনুনয় বিনিয়ের পরে ফুটবলারের ছেড়েছে ভারতের ক্লাবগুলো। এমন চলতে থাকলে ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতি যে আরও ধীর লয়ে চলবে সেটা বলাই বাহুল্য।