IND vs PAK: বিরাট লড়াইয়ে পাক বধ ভারতের

মহান ক্রিকেটার হতে গেলে বড় মঞ্চে ভাল খেলতে হয়। এটা ঠিকই যে, কারও পক্ষেই রোজ বড় ইনিংস খেলা সম্ভব নয়। কিন্তু নিয়ম করে চাপের মুখে ভেঙে পড়লে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যেমন প্রশ্ন উঠছে ভারতের ওপেনার কে এল রাহুল, অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে। রোহিতের মতোই রাহুলও ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বড় ম্যাচে তিনি বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের(IND vs PAK) বিরুদ্ধে ম্যাচেও দ্রুত আউট হয়ে গেলেন রাহুল। অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে মাত্র ৮ বল ক্রিজে থেকে ৪ রান করে নাসিম শাহের বলে প্লেড অন হলেন রাহুল। তিনি আউট হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান রোহিতও। তিনিও করেন ৪ রান। ১০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারতীয় দল। সেই সময় অনেকেই আশা করেছিলেন, বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব লড়াই করবেন। দুটো বাউন্ডারি মেরে শুরুটা ভাল করেছিলেন সূর্য। কিন্তু ১৫ রান করেই তিনিও আউট হয়ে যান। এরপর রান আউট হয়ে যান অক্ষর প্যাটেল (২)। ৩১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসে ভারত। 

Advertisements

এরপর বিরাটের সঙ্গে যোগ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁরা পাল্টা লড়াই শুরু করেন। ১২-তম ওভারে ওঠে ২০ রান। মহম্মদ নওয়াজের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন হার্দিক। পরের বলে তিনি নেন ১ রান। তৃতীয় বলে কোনও রান করতে পারেননি বিরাট। তবে চতুর্থ বলে তিনি ছক্কা মারেন। পঞ্চম বলে হয় ১ রান। এরপর ওভারের শেষ বলে ফের ছক্কা মারেন হার্দিক। এই ওভারটা ভারতীয় শিবিরে জয়ের আশা ফিরিয়ে আনে। পরের ওভারে ওঠে ৯ রান। কিন্তু এরপর রানের গতি কমে যায়। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬০ রান। সেই সময় দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হন বিরাট-হার্দিক। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪৮ রান। ১৮-তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বিরাট। এই ওভারে ওঠে ১৭ রান। 

Advertisements

জয়ের জন্য ভারতের শেষ ২ ওভারে দরকার ছিল ৩১ রান। ১৯-তম ওভারে দুটো ছক্কা মারেন বিরাট। এই ওভারে ওঠে ১৫ রান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান। বল করতে যান মহম্মদ নওয়াজ। প্রথম বলেই মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান হার্দিক। তিনি ৩৭ বলে ৪০ রান করেন। এরপর ক্রিজে আসেন দীনেশ কার্তিক। তিনি প্রথম বলে ১ রান নেন। এরপর বিরাট ২ রান নেন। পরের বলে তিনি ছক্কা মারেন। বলটি কোমরের উপরে থাকায় নো বল দেন আম্পায়ার। ফলে ফ্রি হিট পায় ভারত। পরের বলটি ওয়াইড করেন নওয়াজ। ফ্রি হিট বজায় থাকে। পরের বলে বিরাট বোল্ড হয়ে গেলেও, ছুটে ৩ রান নিয়ে নেন। ফলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২ বলে ২ রান। স্টাম্প আউট হয়ে যান কার্তিক। ফলে জয়ের জন্য শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। ক্রিজে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওয়াইড বল করেন নওয়াজ। এরপর শেষ বলে জয় এনে দেন অশ্বিন। বিরাট ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি ফের প্রমাণ করে দিলেন, এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার।