আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) প্লে-অফে ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স (GT), রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (RCB), পঞ্জাব কিংস (PBKS) এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI)। অন্যদিকে, ছিটকে পড়েছে বাকি ছয়টি দল। এই ছয় দলের মধ্যে বেশকিছু ক্রিকেটার, যাদের দাম ছিল কোটি টাকার বেশি, এবারের আইপিএলে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ঋষভ পন্থ, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, মহম্মদ শামি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল।
ঋষভ পন্থ (২৭ কোটি টাকা, লখনউ সুপার জায়ান্টস)
আইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। কিন্তু এবারের মরসুমে তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। ১১ ইনিংসে মাত্র ১৫১ রান করেছেন তিনি। এমনকি তার অধিনায়কত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, কারণ দল ভালো শুরু সত্ত্বেও প্লে-অফে যেতে পারেনি।
ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২৩.৭৫ কোটি টাকা, কলকাতা নাইট রাইডার্স)
কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৩.৭৫ কোটি টাকায় ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে (Venkatesh Iyer) দলে নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ৭ ইনিংসে মাত্র ১৪২ রান করেছেন, গড় ২০.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৯.২১। এই পারফরম্যান্সের কারণে তার মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মহম্মদ শামি (১০ কোটি টাকা, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ১০ কোটি টাকায় মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দলে নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ৯ ম্যাচে মাত্র ৬ উইকেট নিয়েছেন, গড় ৫৬.১৬ এবং ইকোনমি রেট ১১.২৩। এই খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে তাকে বেশ কয়েকটি ম্যাচে প্লেয়িং-১১ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৯.৭৫ কোটি টাকা, চেন্নাই সুপার কিংস)
চেন্নাই সুপার কিংস ৯.৭৫ কোটি টাকায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin) দলে নিয়েছিল। কিন্তু তিনি ৯ ম্যাচে মাত্র ৭ উইকেট নিয়েছেন, গড় ৪০.৪২ এবং ইকোনমি রেট ৯.১২। এই পারফরম্যান্সের কারণে তার মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল (১৮ কোটি টাকা, পঞ্জাব কিংস)
পঞ্জাব কিংস ১৮ কোটি টাকায় ইয়ুজবেন্দ্র চাহালকে (Yuzvendra Chahal) দলে নিয়েছিল। তিনি ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন, গড় ২৫.২৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৫.৮৫। ইকোনমি রেট ৯.৩০ হওয়ায় তার পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা চলছে।
এই পাঁচজন খেলোয়াড়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স না করার কারণে তাদের দলগুলো প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি। তাদের ব্যর্থতা দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি প্রমাণ করে যে, শুধু দামি খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া নয়, তাদের ফর্ম এবং পারফরম্যান্সও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।