ডার্বি ম্যাচের আগের দিন শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার ডার্বি ম্যাচের উত্তাপ বাড়িয়ে তুলতে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। দেবব্রত সরকার(নীতু) ডার্বি ম্যাচের আগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বলেন,”আমাদের দলে মস্তান আছে,মস্তান না হলে ইস্টবেঙ্গলের জার্সি পড়তে পারতো না।লাল হলুদ জার্সি পড়লে মস্তানি করতেই হবে,মস্তানি হৃদয় থেকে আসতে হবে।”
কিন্তু হাইপ্রেসার গেম ডার্বি ম্যাচে শনিবার লাল হলুদ খেলোয়াড়দের বল পায়ে ATKমোহনবাগানের বিরুদ্ধে মস্তানি করতে দেখা গেল না,উল্টে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সবুজ মেরুন ব্রিগেডের কাছে ২-০ গোলে হেরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। সাতে সাত(৭/৭) ডার্বি ম্যাচের রঙ।
এমন আবহে ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা লাল হলুদ ব্রিগেডের কর্তা দেবব্রত সরকারের ডার্বি ম্যাচের আগের দিন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে জোরদার ‘খিল্লি'(কটাক্ষ) উড়িয়ে চলছে। লাল হলুদ সমর্থকদের সাফ কথা,খারাপ খেললে কোচ-ফুটবলারদের সরানো হলে ক্লাব কর্তারা কেন সরবে না।২০০৭ সালের পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে নির্বাচন হয়নি,অর্থাৎ ক্লাব বিরোধী শূণ্য।আবার আর এক লাল হলুদ সমর্থক ক্লাব কর্তা দেবব্রত সরকারকে খোঁচা মেরে বলেছে,আমার পাড়াতে কয়েকজন মস্তান আছেন,তাদের কি এই জার্সিটা দেবেন নীতু দা????🙂
মহাডার্বি হারের রেশ এবং টানা ৭ ডার্বি ম্যাচের রঙ সবুজ মেরুন এর থেকে পরিষ্কার লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে দল গঠন এবং ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের নিয়ে ক্ষোভের মশালের উত্তাপ দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে।