আগের আইএসএলে খুব একটা ভালো ফলাফল ছিল না চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC)। বহু প্রত্যাশা নিয়ে দল গঠন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যারফলে লিগ টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ হয়েছিল দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ। সেটা এক কথায় বিরাট বড় ধাক্কা ছিল দলের সমর্থকদের কাছে। সেই হতাশা ভুলে পরবর্তীতে কলিঙ্গ সুপার কাপে সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির কাছে পরাজিত হতে হয়েছিল ওয়েন কোয়েলের ছেলেদের। কিন্তু সেইসব এখন অতীত।
ভুল শুধরে নয়া সিজনে সাফল্য পেতে বদ্ধপরিকর দক্ষিণের এই ফুটবল দল। সেইমতো ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC)। বিভিন্ন মাধ্যমের তরফে সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের নাম। দলের বেশ কিছু ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির বৃদ্ধি করার পাশাপাশি টুর্নামেন্টে প্রভাব বিস্তারকারী কয়েকজন ফুটবলারদের দিকেও নজর ছিল দক্ষিণের এই সফল ফুটবল ক্লাবের। স্বাভাবিকভাবেই নতুন মরসুমে যে বড়সড় চমক আসতে চলেছে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল ব্যাপকভাবে। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ আয়োজন ঘিরে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় যথেষ্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়িন এফসি (Chennaiyin FC) সহ একাধিক ক্লাব ম্যানেজমেন্ট।
তবে সময়ের সাথে সাথেই বদলেছে পরিস্থিতি। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকেই শুরু হবে আইএসএল। কিন্তু তাঁর আগে সুপার কাপে নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া সকলে। সেইমতো নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী। শেষ মুহূর্তে এসে ঘর গোছানোর কাজ করছে একাধিক ফুটবল দল। যার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল জামশেদপুর এফসির নাম। ইতিমধ্যেই কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের দুই প্রাক্তন তারকাকে যুক্ত করেছে ইস্পাত নগরীর এই ক্লাব। শোনা যাচ্ছে, এই জামশেদপুরের এক ফুটবলারকে দলে নিতে মরিয়া আইএসএল জয়ীরা।
তিনি ইমরান খান। হিসাব অনুযায়ী দেখলে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ইস্পাত নগরীর এই ফুটবল দলের সঙ্গে চুক্তি ছিল আপফ্রন্টের এই ফুটবলারের। তবে নতুন মরসুমে তাঁকে দলে নিতে মুখিয়ে তিন ফুটবল ক্লাব। যাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল চেন্নাইয়িন এফসির (Chennaiyin FC) নাম। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সব ঠিকঠাক থাকলে দক্ষিণের এই দলেই যোগদান করবেন ইমরান। বলাবাহুল্য, গত মরসুমে দলের হয়ে প্রায় চব্বিশটি ম্যাচ। নিজে গোল না পেলেও দলের হয়ে তিনটি গোল কন্ট্রিবিউশন থেকেছে মনিপুরের এই ফুটবলারের।