২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup) আসর বসেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে পরাজিত করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল। টুর্নামেন্ট চলাকালীন আইসিসি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমেরিকায় কোনো আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়। আইসিসির বার্ষিক সভার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বড় একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
জয় শাহের হাতে চলে যাচ্ছে আইসিসির দায়িত্ব! দ্রুত হতে পারে সিদ্ধান্ত
আসলে আমেরিকায় খেলা বিশ্বকাপে কোটি কোটি টাকা খরচ করেছিল আইসিসি। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে এবার আইসিসির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৯ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত এই সভার আয়োজন করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের জন্য সংস্থাটির ২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় মুদ্রায় এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৬৭ কোটি টাকারও বেশি।
বার্ষিক সাধারণ সভার এজেন্ডায় টুর্নামেন্টের আর্থিক বিবরণ অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও এটি বোর্ড কর্তৃক ইভেন্ট-পরবর্তী প্রতিবেদনে আলোচনা করা হতে পারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় অনেক ম্যাচেই স্টেডিয়াম ছিল একেবারে ফাঁকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলো চলাকালীন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকলেও আমেরিকায় খেলা ম্যাচগুলোর সময় দেখা যায় অনেক স্ট্যান্ড পূর্ণ হয়নি। মনে করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের সময় টুর্নামেন্টের বিজ্ঞাপন আমেরিকায় ঠিকমতো করা হয়নি।
গম্ভীরের আমলে ভাগ্য ফিরতে পারে দুই ক্রিকেটারের, আভাস দিলেন কোচ
একই সঙ্গে টিকিটের মূল্যও ছিল অনেক বেশি। যার কারণে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল কম। এ ছাড়া কোটি কোটি টাকা খরচ করে আমেরিকায় নতুন স্টেডিয়ামও তৈরি করেছিল আইসিসি। কিন্তু ভারতের ম্যাচ ছাড়া আর কোনও ম্যাচে সেই স্টেডিয়াম দর্শক পূর্ণ দেখা যায়নি।