ক্রিকেটের নিয়মে বড় পরিবর্তন! বাউন্ডারি ক্যাচে নতুন শর্ত

মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC) এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ক্রিকেটে একটি উল্লেখযোগ্য নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নতুন নিয়মে, জনপ্রিয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ, যেখানে ফিল্ডাররা বাউন্ডারির…

ICC Bans Bunny-Hop Boundary Catches in New Cricket Rule

মেরিলবোন ক্রিকেট ক্লাব (MCC) এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) ক্রিকেটে একটি উল্লেখযোগ্য নিয়ম পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। এই নতুন নিয়মে, জনপ্রিয় ‘বানি-হপ’ ক্যাচ, যেখানে ফিল্ডাররা বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে বল স্পর্শ করতেন, তা আর বৈধ বলে গণ্য হবে না। এই খবরটি এসপিএনক্রিকইনফো’র একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। তবে, যে দর্শনীয় ক্যাচগুলিতে ফিল্ডাররা বাউন্ডারির ভিতর থেকে বল ধাক্কা দিয়ে বাইরে চলে যান এবং আবার ফিরে এসে ক্যাচ ধরেন, তা এখনও অনুমোদিত থাকবে। কিন্তু বাউন্ডারির বাইরে থেকে বল হাওয়ায় পাম করে এবং বাইরেই অবতরণ করলে তা অবৈধ বলে গণ্য হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার যদি বাউন্ডারির বাইরে পা রেখে লাফিয়ে বল স্পর্শ করেন, তবে ক্যাচটি বৈধ হতে হলে তাঁকে অবশ্যই খেলার মাঠের ভিতরে অবতরণ করতে হবে।

Advertisements

উদাহরণস্বরূপ, হরলিন দেওলের মতো দর্শনীয় ক্যাচ এখনও বৈধ থাকবে। তবে, আইপিএল ২০২৫ মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)’র ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের পাঞ্জাব কিংস (PBKS)’র বিরুদ্ধে নেওয়া ক্যাচ দ্বিতীয় শ্রেণির মধ্যে পড়বে এবং এটি অবৈধ হবে। এই নতুন নিয়ম ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। যদিও আইসিসি’র খেলার শর্তাবলীতে এটি আগামী সপ্তাহ থেকেই প্রতিফলিত হবে।

বিজ্ঞাপন

পুরানো নিয়মে ক্যাচ তখনই অবৈধ হত যখন ফিল্ডার বল, মাটির সংস্পর্শে থাকতেন এবং তিনি বাউন্ডারির বাইরে থাকতেন। এমসিসি’র মতে, এই নিয়মের কারণে কিছু অস্বাঞ্জন্যমূলক ক্যাচ দেখা গেছে, যা ক্রিকেট দর্শকদের কাছেএ ‘অন্যায়’ বলে মনে হয়েছে। এমসিসি একটি নোটে বলেছে, “আমরা এমন একটি নতুন শব্দচয়ন তৈরি করেছি যেখানে বাউন্ডারির সম্পূর্ণ বাইরে ‘বানি-হপ’ ক্যাচ বাতিল করা হয়েছে। তবে ফিল্ডার যদি বাউন্ডারির ভিতর থেকে বল ধাক্কা দিয়ে বাইরে চলে যান এবং ফিরে এসে ক্যাচ ধরেন, তা বৈধ থাকবে।”

নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, বাউন্ডারির বাইরে ফিল্ডার হাওয়ায় থাকাকালীন বলে শুধুমাত্র একবার স্পর্শ করতে পারবেন। এর পর তাঁর মাটির সঙ্গে পরবর্তী সংস্পর্শ অবশ্যই খেলার মাঠের ভিতরে হতে হবে। এমনকি বল অন্য ফিল্ডারের কাছে পাস করা হলেও, যদি ফিল্ডার বাউন্ডারির বাইরে অবতরণ করেন বা পরে বাইরে পা রাখেন, তবে বাউন্ডারি গণ্য হবে। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, ফিল্ডারের কাছে বাউন্ডারির বাইরে লাফিয়ে বল স্পর্শের মাত্র একটি সুযোগ থাকবে। এর পর বাউন্ডারি একটি ‘কঠিন রেখা’ হয়ে উঠবে। তিনি যখনই মাটি স্পর্শ করবেন, তাঁকে অবশ্যই খেলার মাঠের ভিতরে থাকতে হবে।

নতুন নিয়মের সঠিক শব্দচয়ন (১৯.৫.২): ১৯.৫.২: যে ফিল্ডার মাটির সঙ্গে সংস্পর্শে নেই, তিনি বাউন্ডারির বাইরে অবতীত বলে গণ্য হবেন। যদি বলের সঙ্গে তাঁর প্রথম স্পর্শের আগে তাঁর শেষ মাটির সংস্পর্শ সম্পূর্ণরূপে বাউন্ডারির ভিতরে না হয়। এটি যেকোনো ফিল্ডারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ১৯.৫.২.১: যদি ফিল্ডারের বলের প্রথম স্পর্শ ১৯.৫.২ লঙ্ঘন না করে, তিনি বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে হাওয়ায় বল স্পর্শ করতে পারেন। বলে একবার স্পর্শের পর, তাঁর পরবর্তী সব মাটির সংস্পর্শ অবশ্যই খেলার মাঠের ভিতরে হতে হবে। ঐ ডেলিভারিতে তিনি বাউন্ডারির বাইরে মাটি স্পর্শ করলে, বলের সংস্পর্শ থাকুক বা না থাকুক, বাউন্ডারি গণ্য হবে। ১৯.৫.২.২: যদি ফিল্ডার বাউন্ডারির বাইরে থেকে লাফিয়ে বল খেলার মাঠে ফেরান, তবে তাঁকে অবশ্যই খেলার মাঠের ভিতরে অবতরণ করতে হবে। অন্যথায়, বাউন্ডারি গণ্য হবে।