বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা FIFA এবং অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) উপর আরোপিত ট্রান্সফার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ব্যান উঠে যাওয়ার পরে হায়দরাবাদ এফসি তাদের ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন চুক্তি সম্পন্ন করা শুরু করেছে।
ফিফা এবং এআইএফএফ উভয়ই পৃথক নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরে সমস্যায় পড়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নেস্টার গর্ডিলোর সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বিরোধের কারণে গত বছরের নভেম্বর থেকে ফিফার নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। এছাড়া ভারতের প্রাক্তন ডিফেন্ডার আদিল খানের বকেয়া পরিশোধের ব্যাপারেও এআইএফএফ-এর রক্ত চক্ষু পড়েছিল ক্লাবের ওপর। চলতি মাসের শুরুতে পৃথক নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন করে সমস্যায় পড়েছিল ক্লাব। বিতর্কিত এই বকেয়া এখন পরিশোধ করা হয়েছে। যার ফলে নতুন খেলোয়াড়দের রেজিষ্টার করার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এআইএফএফ ২১ আগস্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল শাজি প্রভাকরন সমস্ত রাজ্য অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, “হায়দরাবাদ ফুটবল ক্লাব থেকে নতুন খেলোয়াড়দের নিবন্ধনের উপর জাতীয় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।”
এআইএফএফ জানিয়েছে, আদিল খান বনাম হায়দরাবাদ এফসি মামলায় এআইএফএফ প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এআইএফএফ-এর সবুজ সংকেত সত্ত্বেও ক্লাব খেলোয়াড়দের রেজিষ্টার করতে পারেনি কারণ ফিফার ছাড়পত্রের পাওয়া তখনও বাকি ছিল।
গত ২৪ আগস্ট ফিফার বজ্র মুষ্টি আলগা হয়।
ফিফার এই আদেশে বড় ধরনের স্বস্তি পায় ক্লাব। ক্লাবের নতুন খেলোয়াড়দের মধ্যে নিশ্চিত হলেন মাকান চোথে (এফসি গোয়া), পেটেরি পেন্নানেন (টাম্পেরিন ইলভেস), জো নোলস (ব্রিসবেন রোর), জোনাথন মোয়া (এফসি আনিয়াং) এবং ভিগনেশ দক্ষিণামূর্তি (মুম্বাই সিটি)-রা।