পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য সিংটোর

গত সোমবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ (ISL 2024) খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। একটা সময় অ্যালেক্স সাজিরা…

গত সোমবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ (ISL 2024) খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। একটা সময় অ্যালেক্স সাজিরা এই ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলেও পরবর্তীতে রাই তাচিকাওয়ার গোল বদলে দেয় গোটা পরিস্থিতি। তারপর থেকেই কার্যত কোনঠাসা হতে শুরু করে নিজামের শহরের এই ফুটবল ক্লাব। যারফলে প্রথমার্ধের শেষে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাব। প্রতিপক্ষ দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে যান অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড জর্ডান মারি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ফের চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল হায়দরাবাদ এফসি। যারফলে একটা সময় গডার্ডের গোলে ব্যবধান ও করিয়েছিল নিজামের শহরের এই ফুটবল দল। কিন্তু ম্যাচে ফেরা আর সম্ভব হয়নি। যারফলে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই থাকতে হল স্টিফেন সেপিচদের। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়েই কার্যত হতাশা প্রকাশ করলেন কোচ থাংবোই সিংটো (Thangboi Singto)। তিনি বলেন, ” এই ম্যাচের প্রথমদিকে আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছে। যা এখনও পর্যন্ত অন্যতম সেরা ম্যাচ গুলির একটি। কিন্তু তারপর থেকেই একটি ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। “

   

সিংটো আরও বলেন, ” জামশেদপুর এফসি গোল পাওয়ার আগে পর্যন্ত আমরা খেলা নিয়ন্ত্রণ করছিলাম‌। আমরা ওদের যথেষ্ট চাপে রেখেছিলাম। কিন্তু দলের ফুটবলারদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতেই তা সব কিছু বদলে দেয়। সেখান থেকেই রাই তাচিকাওয়া গোল করে যান। তবে আমাদের আরও সাবধানী হতে হবে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ছেলেরা নিজেদের ভুল বুঝে আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারবে বলেই আমি মনে করি।”

এছাড়াও এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টুর্নামেন্টের প্রথম গোল পায় হায়দরাবাদ এফসি। সেই নিয়ে দলের ফুটবলারদের ও যথেষ্ট প্রশংসা করেন এই ভারতীয় কোচ। বিশেষ করে রামহলুঞ্চুঙ্গা যেভাবে প্রতিপক্ষ দলকে যেভাবে চাপে ফেলে দিয়েছিল সেই কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলের জয় না আসায় যথেষ্ট হতাশ সিংটো। তবে নিজেদের ভুলত্রুটি শুধরে নিয়ে পরবর্তী ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোই অন্যতম লক্ষ্য এই ফুটবল ক্লাবের।