৭০৯ দিনের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ঘরের মাঠে জয় পেল হায়দরাবাদ (Hyderabad FC), অন্তর্বর্তীকালীন কোচ শামিল চেম্বাকাথের (Shameel Chembakath) অধীনে। জিএমসি বলায়োগি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিরুদ্ধে ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় ছিনিয়ে নেয় তারা। নওয়াবরা দুই গোল পিছিয়ে থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে আইএসএল ২০২৪-২৫ মরশুমে প্রথমবার ঘরের মাঠে জয়লাভ করে।
কেরালা ম্যাচে লাল-হলুদের নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন এই ফুটবলার
ম্যাচটি ছিল আবেগের দোলাচলে ভরা। হায়দরাবাদ এফসির হয়ে ১২তম মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মুহাম্মদ রফি। এটি ছিল তার প্রথম আইএসএল গোল। তবে জামশেদপুর এফসি দ্রুতই পাল্টা জবাব দেয়। জাভি হের্নান্দেজ চার মিনিটের ব্যবধানে দুটি পেনাল্টি কিক থেকে গোল করে তাদের এগিয়ে দেন। তবুও হায়দরাবাদ এফসি হার মানেনি। ৬৯তম মিনিটে জোসেফ সানি একটি গোল করে ব্যবধান কমান এবং ৭৪তম মিনিটে আন্দ্রেই আলবার অসাধারণ একটি শটে জয় নিশ্চিত হয়।
এই কঠিন লড়াইয়ের জয়টি শুধু ৭০৯ দিনের মধ্যে প্রথমবার ঘরের মাঠে জয়ই নয় বরং অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান কোচ শামিল চেম্বাকাথের অধীনে তাদের প্রথম জয় হিসেবেও চিহ্নিত হল।
মহাকুম্ভে মেসি-রোনাল্ডো? ভাইরাল ভিডিয়োতে স্তম্ভিত নেটিজেনরা
এবিষয়ে কোচ শামিল চেম্বাকাথ নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং জয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,“এটি আমার কোচিং ক্যারিয়ারের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। আমি মনে করি, আজ সবাই অসাধারণ পারফর্ম করেছে। মাঠে নামার আগে আমি ছেলেদের চারটি বিষয় বলেছিলাম। প্রথমত, ধারাবাহিকতা, যা আমরা গত কয়েকটি ম্যাচে ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। দ্বিতীয়ত, পরিশ্রম, যা আজ তারা দেখিয়েছে। তৃতীয়ত, দায়বদ্ধতা, যেটি তারা পুরোপুরি প্রদর্শন করেছে। আর শেষ বিষয়টি ছিল, পয়েন্ট ভাগাভাগি নয়। যদিও আমরা ক্লিন শিট রাখতে পারিনি, তবে আমরা পয়েন্ট ভাগ করিনি। আমি চেয়েছিলাম তিনটি পয়েন্ট, যা তারা আমাদের এনে দিয়েছে। সম্ভবত, আমার জন্য এটি সেরা ফলাফলগুলোর একটি,” ।
শামিল চেম্বাকাথ তরুণ প্রতিভা জোসেফ সানি এবং মুহাম্মদ রফির অবদানকে প্রশংসা করেছেন। তাদের গোল এবং দলের জন্য তাদের প্রতিশ্রুতিকে তিনি তুলে ধরেন। গোলরক্ষক অর্জদীপ সিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেভেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। অর্জদীপের ভূমিকাকে জয়ের পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে খেলোয়াড়দের দুষলেন জামিল
তিনি আরও বলেন, “জোসেফ সানির কাজের পরিমাণ দেখুন, সে আমাদের দলে সবচেয়ে বেশি দৌড়ানো খেলোয়াড়দের একজন। মুহাম্মদ রফি অত্যন্ত বুদ্ধিমান খেলোয়াড়। বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে গত ম্যাচে আলেক্স সাজি ছাড়াই সে প্রতিরক্ষা সামলেছে, সেটি আপনি দেখেছেন। অর্জদীপ সিং ম্যাচ ধরে ধরে উন্নতি করছে। শেষ দুটি সেভ সে অসাধারণভাবে করেছে। সে আমাদের জয়ের জন্য শেষ মুহূর্তটি নিশ্চিত করেছে। আমার মতে, বেঞ্চ থেকে নামা খেলোয়াড়রাও তাদের সেরা দেয়ার চেষ্টা করছে,”