হকি ইন্ডিয়ার (Hockey India) দীর্ঘ দিনের সিইও এলেনা নরম্যান প্রায় ১৩ বছর এই পদে থাকার পর মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দেওয়ার সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ফেডারেশনে পারস্পরিক দলাদলির কারণে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে, এর পরেই তাঁর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত। যদিও হকি ইন্ডিয়া এলেনা নরম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পদত্যাগের পর নরম্যান পিটিআইকে বলেছিলেন, দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ে কাজ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। হকি ইন্ডিয়ায় দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। একদিকে আমি এবং দিলীপ তিরকে (শভাপতি), অন্যদিকে (সচিব) ভোলানাথ সিং, (এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) কমান্ডার আর কে শ্রীবাস্তব এবং (কোষাধ্যক্ষ) শেখর জে মনোহরন। কিছু লোক আছেন যারা ক্ষমতা দখল করতে চান এবং একদিকে দিলীপ, যিনি একজন ভাল মানুষ এবং ভারতীয় হকির জন্য ভালো চান। সভাপতি দিলীপ তিরকে ও সচিব ভোলানাথ সিংয়ের মধ্যে কোনও মতবিরোধের কথা অস্বীকার করেছে হকি ইন্ডিয়া।
এক যৌথ বিবৃতিতে দিলীপ তিরকে ও ভোলানাথ সিং জানিয়েছেন, হকির উন্নতির জন্য তাঁরা একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবেন। হকি ইন্ডিয়ার জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সম্প্রতি কিছু বিদায়ী কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন যে হকি ইন্ডিয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। এটা ঠিক নয়। হকির স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
Media advisory:
Below is the official joint statement by Hockey India President Dr. Dilip Tirkey and Secretary General Shri Bhola Nath Singh. #HockeyIndia #IndiaKaGame pic.twitter.com/ZkeaZPcTmv— Hockey India (@TheHockeyIndia) February 28, 2024
নরম্যানের পদত্যাগ গত কয়েকদিনে হকি ইন্ডিয়ার জন্য দ্বিতীয় ধাক্কা। এর আগে ভারতীয় মহিলা হকি দলের হেড কোচ ইয়ানেক শোপম্যান পদত্যাগ করেছিলেন। এরপর তিনি বলেছিলেন, ‘হকি ইন্ডিয়ার এই ধরণের পরিবেশে কাজ করা কঠিন।’ তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে জাতীয় ফেডারেশন তাঁকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে না এবং সম্মান করে না। এরপর নরম্যান একই রকম অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন। তবে তিরকির প্রশংসা করেছিলেন।
নরম্যান ২০০৭ সালে একটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করার জন্য ভারতে এসেছিলেন। ২০১১ সালে তিনি হকি ইন্ডিয়ার প্রথম চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১১ সালে, নরম্যান হকি ইন্ডিয়ার প্রথম সিইও হিসাবে কাজ শুরু ক্করেছিলেন।