IPL-এ আজ সুপার সানডেতে ম্যাচ রয়েছে গুজরাট বনাম লখনউয়ের। তবে আজকের ম্যাচের লড়াইটা হবে দুই ভাইয়ের মধ্যে। এর আগেও আমরা বহুবার হার্দিক-ক্রুণালকে মুখোমুখি হতে দেখেছি। তবে আইপিএলের ইতিহাস এই প্রথমবার দুই প্রতিপক্ষ দলের দুই অধিনায়ক দাদা এবং ভাই।
ফলে ক্রুনাল পাণ্ডিয়া বনাম হার্দিক পাণ্ডিয়ার লড়াইয়ে আলাদা মাত্রা যোগ হতে চলেছে আজকের ম্যাচে। কেএল রাহুল চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়কত্ব এখন ক্রুনালের হাতে।আর গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক বরাবরই ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া।
২০২৩-এর আইপিএল শুরু থেকেই লখনউ সুপার জায়ান্টসরা ভালো ফর্মেই ছিল। প্রথম ছ’টি ম্যাচের মধ্যে চারটি জিতে ভালো সূচনা করেছিল ক্রুণাল পান্ডিয়ার দল । তারপর থেকে তাদের পারফরম্যান্সের পতন শুরু হয়। পরবর্তীতে চারটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে তারা। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়। এর আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে বাজে ভাবে হারে লখনউ। পাশাপাশি সেই ম্যাচে এলএসজি অধিনায়ক কেএল রাহুল চোট পেয়ে আইপিএল থেকে ছিটকে যান।
অন্যদিকে গুজরাট প্রথম থেকেই ভালো ছন্দে রয়েছে। শুরু থেকে ব্যালেন্সিং ভাবে খেলে চলেছে হার্দিক পান্ডিয়ার টিম । ফলে আইপিএলের লীগ টেবিলের শীর্ষে রয়েছে তারা। এর আগে লখনউ কখনও গুজরাট কে হারাতে পারেনি। লখনউ এবং গুজরাট তিনবার মুখোমুখি হয়েছিল। তিন বাড়ই হেরেছে লখনউ। তবে আজ গুজরাটের কাছে হারলে কিন্তু বেশ চাপে পড়বে লখনউ। কারণ তাদের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে আরসিবি, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, পঞ্জাব কিংসরা।
এরই মধ্যে একটা মজার ব্যাপার হল, লখনউ তাদের হোম গ্রাউন্ডে ম্যাচ শেষে চারটিতেই হেরেছে। বরং অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের ফল ভালো ছিল। ফলে তারা আমদাবাদে জয়ের ধারাই অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবে। অন্যদিকে গুজরাটের এর সমস্যা হলো তারা এই মরশুমের তিনটি ম্যাচ হেরেছে। যা সুপার জায়ান্টসদের জন্য স্বস্তির কারণ হতে পারে। তবে গুজরাট চাইবে, সুপার জায়ান্টসের হারিয়ে প্লে-অফের জন্য নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যেতে। আজ তারা জিতলে ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাবে তাদের। ফলে অন্যান্য টিমের থেকে অনেকটা এগিয়ে যাবে তারা।
এদিকে, ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কে এল রাহুলের জায়গায় করুন নায়েরকে দলে নিয়েছে লখনউ। তিনি বছরে মোট পাঁচটি আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন।
আবার অন্যদিকে সুপার জায়ান্টরা ধারাবাহিক ভাবেই মরশুমে অমিত মিশ্রকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কাইল মেয়ার্স বা আয়ুশ বাদোনির সঙ্গে অমিতকে বদলানো হতে পারে। সম্ভবত আজ এই ধারাই অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কুইন্টন ডি’কককে নবীন-উল-হক বা মার্কাস স্টোইনিসদের জায়গায় খেলানো হতে পারে। দুই ভাইয়ের মধ্যে শেষ হাসি কে হাসবে হার্দিক পান্ডিয়া না ক্রুনাল! এখন সেটাই দেখার….