Harshal Patel: ফাইনালে দলকে জিতিয়ে হিরো RCB বাতিল ক্রিকেটার

harshal patel

২০০২ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ে বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হয়। ২১ বছরে এই প্রথম এই শিরোপা জিতল হরিয়ানা দল। ফাইনালে রাজস্থানকে ৩০ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় হরিয়ানা। অশোক মেনারিয়ার নেতৃত্বাধীন হরিয়ানা দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান তোলে। জবাবে অভিজিৎ তোমরের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও মাত্র ২৫৭ রান করতে পারে রাজস্থান। হরিয়ানার এই জয়ের নায়ক ছিলেন হর্ষল প্যাটেল (Harshal Patel)।

Advertisements

আরও পড়ুন: Manish Pandey: আইপিএল নিলামের ঠিক আগেই বিরাট শাস্তি পেলেন ভারতের হয়ে খেলা মণীশ 

   

পুরো টুর্নামেন্টেই অপরাজেয় হরিয়ানার দল। হরিয়ানার এই জয়ে নায়ক হিসেবে প্রমাণিত হন হর্ষল প্যাটেল। প্রথম চার ওভারে উঠেছিল ৩১ রান। এরপর অভিজিৎ তোমর ও কুনাল সিং রাঠোরের জুটি ১২১ রান যোগ করে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। এরপর ৩৮তম ওভারে হার্শাল আসার সঙ্গে সঙ্গেই এমন ঝড় তোলেন যে সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরে যায়। প্রথম ৩৮তম ওভারে সেঞ্চুরিয়ান অভিজিৎ তোমরকে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি। এরপর ৪৪তম ওভারে কুনাল ও ৪৬তম ওভারে কুকনা অজয় সিংয়ের উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন প্যাটেল। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি রাজস্থানের দল।

আরও পড়ুন: Rohit Sharma: এবার জাতীয় দলের অধিনায়ক পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে রোহিতকে! 

Advertisements

হরিয়ানার হয়ে তিনটি উইকেট নেন সুমিত কুমার। রাহুল তেওয়াটিয়া ও অনশুল কম্বোজ ২টি করে সাফল্য পেয়েছেন। এর আগে হরিয়ানার হয়ে অঙ্কিত কুমার ৮৮ ও অধিনায়ক অশোক মেনারিয়া ৭০ রান করেন। রাজস্থানের হয়ে অভিজিৎ ১০৬ ও কুনাল ৭৯ রান করলেও তাদের ইনিংস কাজে আসেনি। রাজস্থানের অধিনায়ক দীপক হুদা প্রথম বলে শূন্য রানে আউট হন।

বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। তবে ২০০১ সাল পর্যন্ত এটি একটি জোনাল টুর্নামেন্ট ছিল। এ সময় জোন ওয়াইজ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। হরিয়ানার দল ১৯৯৩ এবং ১৯৯৫ সালে নর্থ জোনের বিজয়ী ছিল। কিন্তু ২০০২ সালে জাতীয় টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে হরিয়ানার দল একবারও শিরোপা জিততে পারেনি। ২১ বছর অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই দলটি। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত দলের সদস্য থাকা যুজবেন্দ্র চাহাল বর্তমানে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছেন।