Jagai Konda: কোপাই তীরে ফুটবল খেলে কলকাতার ক্লাবে জগাই

প্রীতম সাঁতরা: গ্রাম থেকে কলকাতা, ফুটবল মাঠে আরও এক উত্থানের গল্প। রেলওয়ে এফসিতে সু্যোগ পেয়েছেন জগাই কোঁড়া (Jagai Konda)। কোপাই নদীর তীরে খেলতেন ফুটবল। নতুন…

Railway FC: Jagai Konda's Inspirational Journey in Kolkata Football League Premier Division

প্রীতম সাঁতরা: গ্রাম থেকে কলকাতা, ফুটবল মাঠে আরও এক উত্থানের গল্প। রেলওয়ে এফসিতে সু্যোগ পেয়েছেন জগাই কোঁড়া (Jagai Konda)। কোপাই নদীর তীরে খেলতেন ফুটবল। নতুন মরসুমে খেলবেন কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশন।

নতুন মরসুমের জন্য ছোট বড় প্রায় সব ক্লাবই দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন ক্লাবে নেওয়া হচ্ছে ট্রায়াল। শান্তিনিকেতন ট্রাইবাল অ্যাকাডেমি থেকে রেলওয়ে এফসির ট্রায়ালে গিয়েছিলেন জগাই কোঁড়া। বছর চব্বিশের ডিফেন্ডার জগাইয়ের খেলা মনে ধরে রেলওয়ে এফসির কর্তাদের। সেলেক্ট করে নেওয়া হয় কলকাতা ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার ডিভিশনের স্কোয়াডে।

   

কোপাই নদীর কাছে অবস্থিত গ্রামের ছেলে জগাই কোঁড়া। কৃষক বাড়ির সন্তান। এলাকার প্রথম ফুটবলার হিসেবে রেলওয়ে এফসিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। কলকাতার ক্লাবে ভাইয়ের সিলেকশনের খবর পাওয়ার পরেই ডক্টর কৌশিক ঘোষকে ফোন করেছিলেন জগাইয়ের দাদা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁর কাছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান ডক্টর কৌশিক ঘোষ। তিনিই শুরু করেছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাইবাল অ্যাকাডেমি। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের ভালো ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে অ্যাকাডেমি শুরু করেছিলেন কৌশিক।

শান্তিনিকেতন ট্রাইবাল অ্যাকাডেমির প্রথম দিককার ছাত্র জগাই। আড়াই-তিন বছর এই ক্লাবেই করেছেন অনুশীলন। এখানকার প্রথম ছাত্র হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন কলকাতার ক্লাবে। শুধু জগাই নন, শান্তিনিকেতন ট্রাইবাল অ্যাকাডেমির বেশ কয়েকজন সিনিয়র ছাত্র কলকাতার ক্লাবে যোগ দেওয়ার জন্য প্রহর গুনতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যে।

জগাই কোঁড়া সম্পর্কে ডক্টর কৌশিক ঘোষ জানিয়েছেন, “আমাদের সঙ্গে প্রথম দিন থেকে প্র্যাক্টিস করেছে জগাই। ডিফেন্ডার হিসেবে ভালো। আগামী দিনে আরও ভালো জায়গায় যেতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। শুধু সেন্টার ব্যাক নয়, আধুনিক ফুটবলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খেলতে পারে সাইড ব্যাক হিসেবে।’

জগাই কোঁড়া মূলত ডান পায়ের ফুটবলার। তবে দু-পায়েই খেলতে পারেন। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, ভালো চেহারা। কভারিং, ডজ করার ক্ষেত্রে দক্ষতা রয়েছে।