ইস্টবেঙ্গলের ( East Bengal) আজ মরণ বাঁচন ম্যাচ। শুধু ইস্টবেঙ্গলের জন্য বললে ভুল হবে, আজকের ম্যাচ বেঙ্গালুরু এফসির জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলতে মরসুমে দুই দলের পারফরম্যান্সে উনিশ বিশের পার্থক্য। দুই দলই রয়েছে শেষ ছয়ে থাকার দৌড়ে।
বেঙ্গালুরু এফসি এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরু থেকেই পরিচিত ফর্মে ছিল না। দলের কর্ণধার পার্থ জিন্দাল সোশ্যাল মিডিয়ায় হতাশা লুকিয়ে রাখেননি। জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করেছিল ক্লব। কিন্তু কাজের কাজটা বিশেষ কিছু হয়নি।
বিগত কয়েক মরসুমের তুলনায় ইস্টবেঙ্গল বরং এই মরসুমে অনেক বেশি পরিণত ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মরসুমের শুরুর দিকে ডার্বি জয়, তারপর সিজনের মাঝামাঝি কলিঙ্গ সুপার জিতে লাল হলুদ ক্লাবে ট্রফি খরা কাটিয়েছিলেন কার্লেস কুয়াদ্রতের ছেলেরা। সেই ধারা বজায় রেখে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শেষ ছয়ে জায়গা পাকা করে নিতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গলের শেষ ছয়ে যাওয়ার অংক খুব একটা সহজ নয়। তবে গত ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারানোর পর দলের ফুটবলারদের মনোবল অনেকটা বেড়েছে। বেঙ্গালুর এফসির বিরুদ্ধে আজকের ম্যাচে মশাল বাহিনীর খেলায় তার প্রতিফলন দেখা যাবে বলে আশা করাই যায়। তবে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন এটিকে, এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার হাভিয়ের হার্নান্দেজ।
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে হাভিয়ের হার্নান্দেজ অন্যতম ধারাবাহিক ফুটবলার। বেঙ্গালুরু এফসির মাঝমাঠের স্তম্ভ তিনি। গোলের মধ্যে রয়েছেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। গত চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে গোল করেছেন হাভিয়ের। সব মিলিয়ে পাঁচটি গোল করে দলের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।