ভারতীয় ফুটবলে মহলে প্রাক্তন গোলকিপার সন্দীপ নন্দী (Sandip Nandy) এক বর্ণময় চরিত্রের খেলোয়াড়। ৪৭ বছরের নন্দীকে বর্তমানে মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের গোলকিপিং কোচের ভূমিকাতে দেখা যাচ্ছে।সন্দীপ নন্দীর ফুটবল কেরিয়ার বেশ চমকে দেওয়ার মতো।একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার যার নামের সঙ্গে এক বিশেষ রেকর্ড জড়িয়ে রয়েছে।
বর্ধমানের ছেলে নন্দী ভারতীয় ফুটবল এরিনাতে একমাত্র ফুটবলার যার ঝুলিতে জাতীয় লিগ এবং পরবর্তীতে আইলিগ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে। শুধু নির্দিষ্ট একটি ক্লাবের হয়ে নয়,সারা দেশজুড়ে দেশের বিভিন্ন ক্লাবে খেলার সুবাদে প্রাক্তন গোলকিপার সন্দীপ নন্দীর ফুটবল কেরিয়ারে দেশের সেরা ক্লাবের সদস্য হওয়ার রেকর্ড আজও অক্ষত।
ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, চার্চিল ব্রাদার্সের হয়ে এই অনন্য নজিরের মালিক সন্দীপ নন্দী।দীর্ঘ ২০ বছরের ফুটবল কেরিয়ার শুরু মোহনবাগান ক্লাবের গোলকিপার হিসেবে, ১৯৯৯-২০০১ সেশনে সবুজ মেরুন দূর্গ সামলাতে দেখা গিয়েছে নন্দীকে।মাঝে টালিগঞ্জ অগ্রগামীতে থেকে ২০০২-২০০৪ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গোলকিপার হিসেবে দেখা যায় তাকে।
২০০৪-২০০৯ মাহিন্দ্রা ইউনাইটেড, ২০১০-২০১২ ইস্টবেঙ্গল, ২০১২-২০১৩ চার্চিল ব্রাদার্স দলে সন্দীপ নন্দীর গ্লাভস হাতে পারফরম্যান্স তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো।২০১৩-১৪ মরসুমে ফিরে আসা মোহনবাগান ক্লাবে।এরপরেও বেশ কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে দেখা যায় নন্দীকে।কেরালা ব্লাস্টার্স, সার্দান সমিতির হয়ে খেলতে দেখা যায় নন্দীকে। ২০১৭-১৮ সেশনে কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলকিপার হিসেবে সন্দীপ নন্দীকে শেষবার দেশের ফুটবল সার্কিটে দেখা গিয়েছিল।পরবর্তী সময়ে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির গোলকিপিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
বর্ণময় ফুটবল কেরিয়ারে বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে ২০০৯-১০ সেশনে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফাইনাল ম্যাচে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হেরে যায় বাংলা,ওই দলের সদস্য ছিলেন নন্দী।২০০৪-২০১৩ টানা ৫ বছর জাতীয় দলের গোলকিপার হিসেবে মোট ১৬ টা আন্তজার্তিক ম্যাচ এবং মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডের হয়ে ঘরোয়ানা ফুটবলে সর্বোচ্চ ১২৫ টি ম্যাচের অভিঞ্জতার ঝুলি রয়েছে প্রাক্তন গোলকিপার সন্দীপ নন্দীর কেরিয়ারে।