সাইমন গ্ৰেসন। ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অতি পরিচিত একটি নাম। জার্মান কোচ মার্কো পেজাইউলির পর বেঙ্গালুরু এফসির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এই ব্রিটিশ ম্যানেজার (Simon Grayson)। বলাবাহুল্য, তাঁর তত্ত্বাবধানে ও অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছিল সুনীল ছেত্রীরা। সেমিফাইনালে সাডেন ডেথে তাঁরা টেক্কা দিয়েছিল শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসিকে। যারফলে একের পর এক ম্যাচ জিতে অনায়াসেই ফাইনালের টিকিট ছিনিয়ে নিয়েছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি। সেবার আটকে যেতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের কাছে।
গোটা ম্যাচ জুড়ে অনবদ্য লড়াই করলে ও টাইব্রেকারে শেষ হাসি হেসেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মোহনবাগান। পরবর্তীতে তাঁকে ছাঁটাই করে দেয় বেঙ্গালুরু এফসি ম্যানেজমেন্টের। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল এই বিদেশি কোচের নাম। এমনকি একটা সময় ভারতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচের জন্য নাকি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সাইমন গ্ৰেসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক স্প্যানিশ কোচকেই বেছে নিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন।
তবে পরবর্তীতে আইলিগের জন্য বেশ কয়েকবার সাইমন গ্ৰেসনের কথা উঠে আসলেও সেটা চূড়ান্ত হয়নি। অবশেষে ভারতের প্রতিবেশী দেশ তথা নেপালের একটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হলেন এই ইংলিশ ম্যানেজার। যারফলে এবার থেকে ললিতপুর সিটি এফসির দায়িত্বে থাকছেন প্রাক্তন ফুটবল কোচ। যতদূর খবর, এই মরসুমে তাঁর তত্ত্বাবধানে দলের পারফরম্যান্স দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে নেপালের এই ফুটবল ক্লাব। বেশ কিছু ঘন্টা আগেই নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে সেই কথা ঘোষণা করেছে ললিতপুর এফসি। যা নিয়ে খুশি নেপালের ফুটবলপ্রেমীরা।
ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে খুব একটা সাফল্য না পেলেও নেপালের মাটিতে আদৌ তিনি কতটা সফল থাকেন এখন সেটাই দেখার বিষয়। সেক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।