শেষ কিছু মরসুম ধরে হতশ্রী পারফরম্যান্স করে আসছিল হায়দরাবাদ এফসি। তৎকালীন কোচ থাংবোই সিংটোর পছন্দ অনুযায়ী দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের সই করালেও শেষ মুহূর্তে দল গঠনের ফলে প্রাক মরসুম প্রস্তুতির খুব একটা সময় ছিল না দলের ফুটবলারদের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে। তবে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে জয় কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের ফুটবলারদের। কিন্তু বেশিদিন বজায় ছিল না সেই ধারাবাহিকতা।
সময় এগোনোর সাথে সাথেই একের পর এক শক্তিশালী দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল নিজামের শহরের এই ক্লাবকে। যা ব্যাপক হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। তবে গত মরসুমে দল খুব একটা সক্রিয়তা না দেখালেও একক দক্ষতায় সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এডমিলসন কোরিয়া থেকে শুরু করে মনোজ মহম্মদ এবং সাই গডার্ডের মতো ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বছরের জন্য তাঁদের দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল একাধিক ফুটবল ক্লাব। সময়ের সাথে সাথে চূড়ান্ত হতে শুরু করেছিল সেই বিষয় গুলি। তবে গতবারের হতাশা জনক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি আর্থিক সমস্যা ও দেখা দিয়েছিল ব্যাপকভাবে।
শোনা যাচ্ছিল, নতুন সিজনে হায়দরাবাদ ছেড়ে দেশের রাজধানীর বুকে পদার্পণ করবে এই ফুটবল ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লির হয়ে হয়তো খেলবে দল। সেটাই হয়েছে শেষ পর্যন্ত। যারফলে দিল্লি ডায়নামোজের পর এবার ফের দেখা যেতে চলেছে আইএসএলের কোনও দল। এক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে দিল্লির ফুটবল ফেডারেশন। এবার নতুনভাবে অভিযান শুরু করতে চলেছে স্পোর্টিং ক্লাব দিল্লি। এবার সেই দলের দায়িত্ব গ্ৰহন করলেন টমাস টর্চজ (Tomasz Tchorz)। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। একটা সময় কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগানের সঙ্গে ও যুক্ত ছিলেন তিনি।
এমনকি গত সিজনে মিকেল স্ট্যাহরের চলে যাওয়ার পর যথেষ্ট দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি (Tomasz Tchorz)। এবার তাঁর উপরেই ভরসা রাখল দিল্লি।